Saturday, December 1, 2007

Cutting edge disaster management through ICT

By Edward Apurba Singha
--------------------------------------------------------

It's been just about two weeks Cyclone Sidr made landfall in the coastal
districts, killing thousands and flattening houses and trees. No doubt
the devastation will haunt our collective memory day in, day out.

A vast alluvial delta, Bangladesh is especially prone to acts of God,
against which mankind is only helpless. But we could develop a robust
disaster management system to reduce casualties, the thing we have seen
this time.

But due to a lack of proper information dissemination, hundreds of
fishermen downplayed the scale of the danger stalking them. Rescuers
have now found many of their floating bodies and many are reported still
missing.

The catastrophe has also tore apart the telecommunications services in
the affected areas, contributing to the difficulty in shipping emergency
services. On-time information could have reduced the extent of the
destruction. But weak technological strength and the lack of practical
know-how are the main obstacles to implementing this strategy in the
country.

Information and Communication Technology (ICT) greatly adds to an
effective disaster management. Disaster management is the discipline
that involves preparing, warning, supporting and rebuilding the society
when natural or man-made disaster occurs.

ICT has deep impact on disaster management in all its phases. A
state-of-the-art ICT infrastructure helps the government to precisely
analyse the weather condition, develop effective warning system and
strengthen aid-distribution chain. This article spotlights several
ICT-based solutions that could help the government, NGOs and similar
organisations to enhance disaster management tactics.

*Transforming cyclone centres into internet service centres*

The government is planning to establish many cyclone centres across the
coastal districts. These shelters can as well be utilised to provide
meteorological information for the vulnerable people. In this regard,
each centre needs to be connected to cell phone towers to get
uninterrupted internet service. The authorities should come forward to
develop special websites and relevant contents that would enable people
to gather right information at the right time.

The centres will reach emergency news to the rural people through
community places such as local school, village market and mosques. As
the shelters are always connected to the internet, bucolic people can
use IP telephony service to send in their information to district
headquarters during any emergency. Cell-phone operators should charge
nominal internet-service fees to make the system viable. In normal
circumstances, these centres can be used to train people, NGO workers
and volunteers for disaster control and preparedness and for creating
social awareness.

Developing a central database of available resources

Nowadays a central database of resources is indispensable to
well-coordinated relief activities. This database stores information
regarding vital elements such as food, medicines, clothes, building
materials, etc. If a particular district bears the brunt of Mother
Nature's wrath, neighbouring districts can come forward to assess the
emergency requirements there by using this database, mobilising
available resources instantly.

District authorities will regularly send updated information on their
districts to a central server, which could be located in the capital so
that high-level government officials could closely monitor and
synchronise district-level activities. India Disaster Resource Network
(www.idrn.gov.in) is a good example of such a database.

During a disaster, when everything is in complete disarray, software
could be used for proper resource management. Sahana is an ideal
instance of this kind of software, which was developed in Sri Lanka by a
team of ICT volunteers to help tsunami victims and coordinate work among
relief organisations during and after that catastrophic disaster. Sahana
is a free, open-source software that provides solutions in four segments
-- person registry, organisation registry, campus registry and request
management system.

An online information system such as AlertNet (www.alertnet.org),
developed by Reuters Foundation, is another good example of ICT-based
warning and disaster management system. AlertNet started its operation
in 1997 and is basically a humanitarian news network that keeps informed
relief professionals and general people about the disaster around the
globe.

*Community radio *

Community radio is the radio of rural people. It paves the way for
sharing local news, local happenings, weather updates, commodity price,
etc. between rural communities. Traditional radio stations broadcast
programs that are commercially motivated for which they miss out many
contents that have significant impact on the bucolic people. Community
radio warns fishermen of bad weather and guides them to safety. It also
helps people find out the victims of any disaster and informs them of
casualties.

*GIS and remote sensing for exact analysis*

Geographic Information System (GIS) can be used for scientific analysis,
resource management and development planning. Through GIS, researchers
can successfully identify and isolate risk-prone geographical areas, as
a GIS-based 3D map provides detail information compared to a traditional
2D map. GIS also allows scientists to monitor environmental change,
human impact and other natural process in a particular zone from
earth-orbiting satellites.

GIS is also helpful to identify the damage and at the same time ensure
uniform distribution of emergency supplies at the right place. Remote
sensing is a tactic that allows researches to gather information about
any object located in a remote place. Generally aircraft, spacecraft,
satellite or ship are the prime elements of remote sensing.

*SMS and cell broadcasting *

Short Message Service (SMS) is a potential way to send any important
news. During disaster, when it is not possible to initiate voice calls
due to network congestion, people can send SMS as it operates on
separate control channel. SMS also has another advantage over voice
calls because it can be sent to many people simultaneously.

Cell phone operators nowadays can inform people about any weather
warning through the cell broadcasting. In this process, a text message
is sent to a particular cell or the entire coverage area.

ICT in disaster management can be another arrow in the government's
arsenal to fight against all the negative fallout of a disaster. It also
saves lives. It is high time both government and private stakeholders
integrated ICT in disaster management tactics.


http://www.thedailystar.net/story.php?nid=13718

Thursday, November 29, 2007

সাবমেরিন ক্যাবল কী/ কেন

সাবমেরিন ক্যাবল বা অপটিক্যাল ফাইবার হচ্ছে খুবই সূক্ষ্ম, স্বচ্ছ কাচতš', যার মধ্য দিয়ে আলোর প্রতিফলনের মাধ্যমে কোন একটি প্রতিবিম্ব বা তথ্য এক প্রাš- থেকে অন্য প্রাšে- প্রেরিত হয়। সহজভাবে বলা যায়, অপটিক্যাল ফাইবার হল আলোর এক ধরনের পরিবাহক। অপটিক্যাল ফাইবারে স্বচ্ছ পদার্থের একটি পাতলা মজ্জা অপেক্ষাকৃত নিচু প্রতিসরাংকের পদার্থ দ্বারা আবৃত থাকে যা আচ্ছাদন হিসেবে পরিচিত। আলোক তরঙ্গসমূহ ফাইবারের পাতলা মজ্জা বরাবর মজ্জা-আচ্ছাদনে কতগুলো সম্পূর্ণ অভ্যš-রীণ ধারাবাহিক প্রতিফলন হিসেবে পরিচালিত ও পরিবাহিত হয়। মজ্জা-মধ্যস্থ অপদ্রব্যসমূহের কারণে প্রতি কিলোমিটারে প্রায় সাত শতাংশের মতো আলো ক্ষতিগ্র¯- হয়। সিলিকা-ভিত্তিক ফাইবার ব্যবহার করে এটিকে বহুলাংশে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। অপটিক্যাল ফাইবারের বহুবিধ ব্যবহারিক প্রয়োগ রয়েছে, যেমন : যোগাযোগ ব্যবস্থা, চিকিৎসা ক্ষেত্রে মেডিকেল ইমেজিং ব্যবস্থা এবং শিল্পকারখানা ও শল্যচিকিৎসায় পথনির্দেশক হিসেবে ব্যবহারের জন্য উচ্চ ক্ষমতার লেজার থেকে উৎসারিত আলোককে অপটিক্যাল ফাইবারের মধ্য দিয়ে পাঠানো হয়। এটি প্রচলিত ক্যাবল অপেক্ষা দ্রুত, অধিক পরিমাণে তথ্য বহন করতে সক্ষম এবং এতে তথ্য বিকৃতিও অত্যš- কম।

উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন এ এসইএ-এমই-ডব্লিউই-৪ অপটিক্যাল ক্যাবল নেটওয়ার্কের বি¯-ৃতি ২০ হাজার কিলোমিটার। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য এবং ইউরোপের মধ্যে সংযোগ স্থাপনকারী এই নেটওয়ার্কে ডেনস ওয়েভলেনথ ডিভিশন টেকনোলজি ব্যবহার করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ১.২৮ টেরাবিট ক্যাপাসিটি পাওয়া যাবে। যার মাধ্যমে টেলিফোন, ইন্টারনেট, মাল্টিমিডিয়া ও বিভিন্ন ব্রডব্যান্ড ডাটা এপ্লিকেশনের কাজ অনেক দ্রুত সম্পাদন করা যাবে।
সিঙ্গাপুরের টুয়ার্স থেকে শুরু করে এ ক্যাবলের যাত্রা শেষ ফ্রান্সের মার্সেই শহরে পৌঁছে। এসইএ-এমই-ডব্লিউই-৪ কনসোর্টিয়াম গড়ে উঠেছে ১৪টি দেশের অংশগ্রহণে। দেশগুলো হলÑ সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, বাংলাদেশ, থাইল্যান্ড, ভারত, পাকি¯-ান, শ্রীলংকা, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, মিসর, তিউনিশিয়া, ইতালি, আলজেরিয়া এবং ফ্রান্স।
১৪টি দেশের ১৬টি যোগাযোগ প্রতিষ্ঠান রয়েছে এতে। পুরো নেটওয়ার্ক যেসব জায়গা থেকে সংশ্লিষ্ট দেশে যুক্ত হয়েছে কারিগরি ভাষায় তাদের বলা হচ্ছে ল্যান্ডিং স্টেশন। সমুদ্রতলে সাবমেরিন ক্যাবল বসানোর ক্ষেত্রে দু’রকম নিয়ম অনুসরণ করা হয়। যেখানে সাগরের গভীরতা ১০০ মিটার বা তার চেয়ে কম সেখানে সমুদ্রপৃষ্ঠের নিচে স্থাপন করা হয়েছে এ ক্যাবল। ১০০ মিটারের বেশি গভীরতায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সমুদ্রতলে শুধু পেতে রাখা হয়েছে এ ফাইবার অপটিক্যাল কেবল। এ কাজ সম্পন্ন করেছে জাপানের ফুজিৎসু এবং ফ্রান্সের অ্যালকাটেল কোম্পানি।

বাংলাদেশে এর প্রভাব

আশির দশকে কক্সবাজার ও ভোলার ৪০-৫০ মাইল দূরে বঙ্গোপসাগরের তলদেশ দিয়ে ফাইবার অপটিক্যাল লিংক অ্যারাউন্ড দি গ্লোব নামের আš-ঃমহাদেশীয় ফাইবার অপটিক নেটওয়ার্ক স্থাপন করা হচ্ছিল। অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশকেও এ সময় সংযোগ গ্রহণের প্র¯-াব দিয়েছিল নেটওয়ার্ক স্থাপনকারী বহুজাতিক কোম্পানিটি। কিš' রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বিঘিœত হবেÑ এমন কারণ দেখানোর পর বাংলাদেশকে বাদ দিয়েই তথ্যপ্রযুক্তির এ মহাসড়ক ভারত, পাকি¯-ান, শ্রীলংকা, সিঙ্গাপুর হয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দিকে চলে যায়। বাংলাদেশ হারায় সুযোগ। পরে ১৯৯২ সালে বহুজাতিক কোম্পানি ব্যাকটেল আবারও বাংলাদেশকে সাবমেরিন ক্যাবলে যুক্ত হওয়ার প্র¯-াব করলে তখনও একই ঘটনা ঘটে।
১৯৯৫ সালেও বাংলাদেশের জন্য ইনফরমেশন হাইওয়েতে প্রবেশের সুযোগ আসে। সে সময় উত্তর-পূর্ব এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য ও পশ্চিম ইউরোপ কনসোর্টিয়াম বাংলাদেশকে সাবমেরিন ক্যাবলে যুক্ত হওয়ার প্র¯-াব দেয়। ২০০১ সালের ১৬ আগস্ট টিএন্ডটি অবশেষে সাবমেরিন ক্যাবলের ওপর তাদের মূল্যায়ন রিপোর্ট মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়। ইন্দোনেশিয়ার বালিতে ২০০২ সালের ৪ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ এসইএ-এমই-ডব্লিউই-৪ কনসোর্টিয়ামে যোগ দেয়ার জন্য সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করে। মূলত বালি চুক্তি স্বাক্ষরের মধ্য দিয়েই সাবমেরিন ক্যাবলে যুক্ত হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়। পরবর্তী সময়ে ২০০৪ সালের ২৮ মার্চ সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইতে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য, পশ্চিম ইউরোপ (এসইএ-এমই-ডব্লিউই-৪) কনসোর্টিয়ামের সব পক্ষের মধ্যে চূড়াš- চুক্তি স্বাক্ষর হয় এবং বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে সাবমেরিন ক্যাবল নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত হয়।

বাংলাদেশের আক্কেল সেলামি
১৯৯২ সালে তৎকালীন বিএনপি সরকারের শামসনামলে সাবমেরিন ক্যাবলে সংযুক্ত হওয়ার প্রথম সুযোগটি হাতছাড়া করে বাংলাদেশ। তখন সুযোগটি গ্রহণ করলে বাংলাদেশ বিনামূল্যে সাবমেরিন ক্যাবলে যুক্ত হতে পারত। আজ এ ক্যাবলে যুক্ত হতে কনসোর্টিয়ামকে ৩ কোটি ৫০ লাখ ডলার পরিশোধ করতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। এর মধ্যে ৪১ দশমিক ৪২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ।

সাবমেরিন ক্যাবলের সুবিধা
সাবমেরিন ক্যাবল বা অপটিক্যাল ফাইবার স্থাপনের মাধ্যমে বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের সংযোগ পাওয়া অনেক সহজ। অন্যদিকে ইন্টারনেট ব্যবহারে খচরও অনেক কম। এছাড়া এ কনসোর্টিয়ামের সদস্যভুক্ত ফ্রান্স, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, পাকি¯-ান, ভারতসহ ১৪টি দেশে টেলিফোন সংযোগের ক্ষেত্রে আš-ঃসংযোগের জন্য বাড়তি টাকা দিতে হয় না। এর ফলে এ দেশগুলোর পাশাপাশি অন্যান্য দেশেও আš-র্জাতিক ফোন কলের মূল্য তুলনামূলক কম।

নাশকতা ও অনিশ্চয়তা
সাবমেরিন ক্যাবল উদ্বোধনের আগ থেকেই একের পর এক নাশকতামূলক ঘটনার সূত্রপাত হয়। কক্সবাজার ল্যান্ডিং স্টেশন থেকে চট্টগ্রাম পর্যš- এর অপটিক্যাল ফাইবার লিংক বারবার নাশকতার শিকার হয়। কে বা কারা আগুনে পুড়িয়ে ও কেটে অপটিক্যাল ফাইবার লিংক বিচ্ছিন্ন করে দিচ্ছে বারবার। মুনাফালোভী একটি চক্র দেশের অভ্যš-রে এর ব্যবহার এত তাড়াতাড়ি শুরু হোক তা চায় না। হংকং থেকে কানেকশন নিয়ে বর্তমানে ব্যবসা চালানো ইন্টারনেট ব্যবসায়ীদের চক্রটি এর ব্যবহার বিলম্ব করতে নানামুখী তৎপরতা চালাচ্ছে। বারবার এর সংযোগ ক্যাবলে হানা দিচ্ছে। তাছাড়া সাবমেরিন কেবল চালু হওয়ার পর এর ব্যবহারবিধি, সংযোগসেবা, প্র¯-াবিত ব্রডব্যান্ড নীতিমালা ও এটি ব্যবহারের খরচ এখনও চূড়াš- করা হয়নি। ফলে এর সম্পূর্ণ সুফল পাওয়া যাচ্ছে না।

বিশ্বের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার লক্ষ্যে ও তথ্যপ্রযুক্তির দ্রুত বিকাশের জন্য ইনফরমেশন সুপার হাইওয়েতে বাংলাদেশের অংশগ্রহণের আবশ্যকতা কতটুকু তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে কতিপয় দুষ্কৃতকারীর জন্য দেশবাসী এর পূর্ণ সুফল ভোগ করতে পারছে না। দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতির কথা বিবেচনা করে প্রশাসনকে সাবমেরিন ক্যাবলের দিকে বিশেষভাবে নজর দেয়া উচিত।

সামান্য পরিবর্তন ব্যতীরে, জাকির হোসেন সরকার'র লেখার অবিকল কপি


Wednesday, November 28, 2007

দিননামাচা: গ্রামীণ ফোনের শুয়রের বাচ্ছা মার্কা কর্মের ফলে ভোগান্তির বিবরণ মাত্

সেই কবে ডাইরি লিখতাম, বাবার কাছ থেকে শেখা। প্রেম করতে ইচ্ছে হয় কিন্তু পারিনা- এই দুঃখ ঢাকার জন্য ডাইরি লিখা শুরু। তারপর একসময় শেষও বটে। কিন্তু ৭ বছর পর আবার আজকের দিনকার নামাচাটা লিখতে হলো। কিন্তু এবার আর প্রেম পিরিতি নয়-এবার গ্রামীণ ফোনের শুয়ের বাচ্ছা মার্কা কর্মের ফলে ভোগান্তির বিবরণ মাত্র:

সকাল ৯:০০ টা
১. অধ্যক্ষ আবুল বাসার স্যারকে ফোন করার কথা, কিন্তু পারিনি
২. আউয়াল ভাইকে ফোন করার দরকার, পারিনি
৩. কাজলকে দরকার কিন্তু ফোন করতে পারলাম না
ই-মেইল
১. ই-মেইল চেক করা গেল না
২. ড. মাহবুব একটা রিপোর্ট পাঠানোর কথা গতকালে, কিন্তু চেক করতে পারছি না


সকাল ১১:০০ টা
১. সমাজসেবা বিভাগে যাওয়ার কথা-ডিডি সাহেব আছেন কিনা খবর নেয়া দরকার; কিন্তু মোবাইল চলে না
২. সোনাপুর কলেজে ০২ তারিখের প্রোগ্রামের অগ্রগতি জানা দরকার, কিন্তু ফোন করা যাচ্ছে না
৩. গণসাক্ষরতায় তপন দা’র সাথে কথা বলতে হবে- উনাকে আমন্ত্রণ জানানো ও প্রোগ্রামের খরচের বিষয়ে কিন্তু ফোন কারবার করে না
ই-মেইল
১. আজকেই বিএফএফ-এ একটা প্রকল্প প্রস্তাবনা মেইল করার কথা,-প্রকল্পের আর্থিক দাম ০৬ লাখ টাকা; কিন্তু পারছি না।
২. আউয়াল ভাই একটা প্রকল্প প্রস্তবনার ড্রাফট মেইল করবেন, কিন্তু পারছেন না- এই প্রস্তাবনাটি চুড়ান্ত করে আগামিকাল জমা দিতে হবে। এটির আর্থিক মূল্য কমবেশি ১০ হাজার মার্কিন ডলার
৩. বিটিএনের আমন্ত্রনপত্র পেয়েছি-তাদের কনপার্মেশান মেইল করা দরকার, কিন্তু পারছি না
৪. দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ে আইসিটি’ নিয়ে একটি ডকুমেন্ট ডাউনলোড করা দরকার, কিন্তু পারছি না। বিকেলে এ বিষয়ক একটি সেমিনারে কথা বলতে হবে

বিকেল ৫:০০টা
১. অফিস টাইম শেষ, কার্যত কোন যোগাযোগ হয়নি
২. ডিসি সাহেবকে ফোনে পেলাম না
৩. মিটিংয়ে আসার জন্য এডিসিকে তাগাদা দেবার কথা দিতে পারিনি, তিনি সভায় আসেননি
৪. রুদ্রকে বারবার ফোনে চাচ্ছিলাম- পেলাম না
৫. টেলিটকের সিমে টাকা রিচার্জ করতে হলো

১. কোন ইমেইল পেলাম না
২. কাউকে মেইল করা হলো না
৩. শামীম আরেফিনকে মেইল করতে পারলাম না
৪. কালকে ঢাকায় উন্নয়ন ধারার একটা প্রোগ্রাম আছে, যেতে পারবো না; কিন্তু নয়ন ভাইকে ফোন কিংবা মেইল করতে পারলাম না
৫. মনি’র আজকে প্রথম অফিস দিন, কিন্তু উইশ করা হলো না
৬. রোকু বার বার ফোন দিচ্ছে কিন্তু রিসিভ করলে কেটে যায়- বোধ হয় বন্ধুত্বটা থাকবে না

এসব সমস্যা তৈরি হচ্ছে গ্রামীণ ফোনের কারণে। আজ সকাল থেকে নোয়াখালীতে গ্রামীণ ফোনের নেটওয়ার্ক নেই। আমার সমস্যা ও ক্ষতির পরিমান খুবই সামান্য্। কিন্তু আমার মত আরো অনেকেই এরকম হাজারো সমস্যা হচ্ছে, ক্ষতি হচ্ছে বিরাট অংকের। আমরা এ ক্ষতি ও সমস্যার একচি সারণী করা দরকার। দরকার এ সমস্যা ও ক্ষতিসমূহের জন্য ক্ষতিপূরণ দাবির। সেবাপ্রদানকারী সেবাসরবরাহের ক্ষেত্রে সমস্যা থাকতে পারে। কিন্তু আমরা মনে রাখতে হবে আজকের এ বিড়ম্বনার জন্য জিপি আমাদের কোন নোটিশ দেয়নি। এ ক্ষতির তালিকা পূর্ন রূপ দানে আপনার সহায়তা চাই।

আমাদের এ সমস্যা তৈরি ও ক্ষতি সাধনের জন্য জিপি’র আর্থিক শাস্তি হওয়া উচিত।

Friday, November 23, 2007

ICT takes root in Bangladesh

By Shahidul K K Shuvra
....................................................................

ICT industry has been branded few years ago as a thrust sector in our
country. Many hi-tech experts think that like garment industry the
sector can earn much from the international software market.
E-Governance is a must for ensuring better services as well as for
creating transparency at the all levels of the government.

We started using computer here from 60s while many developing nations
could not even imagine on the emerging power of info-tech. But compare
to our neighbouring countries we came in the race of info-tech very
lately. We still have lack of confidence for investing in the sector as
well as being sluggish in taking bold steps with a new vision. Many
opportunities for software, hardware and computer re-exporting are
slipping out of our hands. We expected gaining successes from exploring
the SEA-ME-WE-4 submarine cable at Jhilonza in Cox's Bazar
It is very strange that we could not build up a strong ICT
infrastructure for grabbing international businesses and making offices
paperless. Our ICT ranking in international area is below a hundred. We
could not place ourselves in the remarkable stage of the e- readiness
ranking. The cover story of the Weekend of The Independent has given a
brief sketch of our ICT industry.
Submarine cable without ICT infrastructure
Our country's log on to the submarine cable network indeed was a
breakthrough in the history of our ICT industry. The fibre optic
connection is supposed to give our ICT sector a mammoth data and
information transfer capacity. The speed of data transfer capacity will
make it possible to transfer big files relating to the likes of
software, data entry, music, movie, drama etcetera. Overseas call charge
should be falling noticeably.
Our country signed the submarine cable accord with a consortium in 2004
for installing the fibre optic networks underneath the Bay of Bengal at
a cost of Taka 628 crore. The 20,000 kilometre SEA-ME-WE-4 submarine
cable project involved 14 countries of three continents from Singapore
to France for 15 years. The South East Asia-Middle East-West Europe-4
project connects our country with undersea fibre-optic cable passing
from Singapore through Malaysia, Thailand, Bangladesh, India, Sri Lanka,
Pakistan and a number of Middle-Eastern countries to finally land in
France. Now our country has a 10-gigabyte data-transfer capacity per
second, 68 times higher than the current speed.
According to an analysis, voice and info-dependent software industry of
our country will need between 5Gbps to 10Gbps by 2010, which is almost
enough to fulfil our country's present requirement and further data
transfer capacity could be increased by additional investment, if we
need more data transfer capacity.

Nigeria logged on to submarine cable some years ago than us, but failed
in exploring the potentialities of the cyber connection as it lacked the
supporting required infrastructure. So despite having submarine cable,
many countries failed, like Nigeria, to achieve their goals in promoting
the rich prospect of the ICT and telecommunication industries. Before
joining global fibre optic connection a country needs the requisite
infrastructure for being able to benefit fully from the submarine cable.
It is very saddening to note that the requisite ICT infrastructure is
not available in our country.

The submarine cable connection is lagging behind for lack of back up
support. Frequent disruptions of the connecting by sabotage is causing
huge damage to the businesses as well as IT sector. For the disruption
we have to reinstall previous satellite based connection, which is so
slow. Many countries enriched their cyber and telecommunication sectors
by joining many submarine cable connections. Currently Myanmar and our
country are the only sea-accessing countries in this region having only
one submarine cable.
Software export and outsourcing
Many examples are shown in print and electronic media about how India
and China benefited from global outsourcing. Their earnings derived on
outsourcing business from Europe and US are now giant contributions to
their GDPs. Not only are the two countries beneficiaries from
participation in the process of outsourcing; but also Malaysia,
Philippines, Nepal and Africa
Our software export stands at 7.2 million US dollar in FY 2003/4, a
growth rate of more than 70 per cent over the previous year. In the
first six months (July-Dec, 2004) of the fiscal year (FY 04/05), the
growth rate has been more than 120 per cent.
The current situation in the country is pushing IT people towards
software export and students are heading for expatriate jobs. The both
tendencies are contradictory to promoting software export. Software
industry is always suffering for dearth of skilled manpower.
Domestic software
Only concentrating on outsourcing will not expand our IT expertise.
There is no creative work in outsourcing. You have to work here
according to the instruction from your foreign bosses.
We should create demand for local software besides striving to grab
overseas markets. We need to develop our domestic software market
profitably. Then we will be able to increase the number of IT graduates
and they will get good job opportunity in their own country. In such way
our expertise on ICTs and infrastructure will begin to improve.
One of the requests of BASIS to the government is allocating 2 per cent
of ADP for IT spending. To make E-Governance a success story its has
been suggesting that our government should spend 100 core Taka for
E-Governance software. According to its information the market size of
software and IT enabled service industry is estimated to be more than
Taka 300 crore every year in our country. Along with hardware, for
example – PC, server, network equipment, Internet and other different
network services; the total ICT industry size would be roughly Taka
1,000 crore each year.
Bangla computing
There is controversy about the Bangla keyboard. We have got a Bangla
standard keyboard after 19 years of endeavours and experiments.
Professor Munir Chowdhury designed a keyboard in 1965 for the Bangla
typewriter. Then in the 80s there were many endeavours by individuals
and groups to make a standard layout for the Bangla keyboard. In 2004
the Bangla keyboard was finalised by the representatives of Bangladesh
Computer Council, Bangla Academy, Bangladesh Standard and Testing
Institute (BSTI), Dhaka University, Bangladesh University of Technology
and Shahajahal Science and Technology University. But immediately after
the finalisation, Mostafa Jobbar of Bijoy software claimed the Bangla
keyboard was nothing but a copy of his Bijoy software and thus it was a
violation of the copyright law.
You will see numerous Bangla composing software in the market. All
composers cannot be acquainted with all the several varieties of
software. In fact, we do not require so many varieties. However, files
cannot be saved in your computer, if you do not install matchable
software and font in your computer.

To solve the Bangla computing problem, our programmers are taking help
from Unicode. It is an international programme, which has been universal
from the 1990s. Unicode is the unique programme for giving specific
number to each character of any language. It does not care what is the
language or programme or which is its platform. The programme assigns
numbers for an alphabet of any language. That is why the encoding system
is becoming internationally acceptable. Unicode consortium is
responsible for maintaining and upgrading the programme.
Previously we used to compose Bangla by using the English alphabet, we
had no codes for Bangla composing. So now Unicode can remove English
influence from our composing operation. However, we need more time to
standardise our keyboard. Bangla conjuncts are complicated; therefore,
the standardisation should come through necessary stages for the final
edition. Suggestions were proposed by some programmers to solve the
complication in spelling. They advised reducing a few alphabets for easy
and quick computing. Blind lovers of our language opposed outright the
idea of leaving out a few alphabets. Liberal perspective is needed here.
Conservative China has recently been changing their vertical writing.
For comfortable composing they have started writing horizontally on the
computer screen.

Developing grammar and spell checking software will be a challenging job
for our programmers. If we want to write correctly, we have to develop
spelling and grammar software like MS-Word, which gives us good sense of
grammar and spelling when composing in English. One of the primary
requirements for introducing Bangla operating system in our country is
developing data based dictionary and thesaurus. Bangla linguists and
programmers jointly have to write the vital data base systems. Bill
Gates of Microsoft said during his visit in the country Windows will
include Bangla in its next edition.
Translating software English to Bangla can be a way of enlightening
people. That kind of software development in our country is possible if
large number of programmers would be assigned to develop the translation
software. However, accurate translation is not yet imaginable with the
knowledge of fourth generation computer. But English information
contents of a write up can be converted comprehensively into Bangla. We
need to popularise Bangla computing in every sector besides English,
especially if we are to accelerate local development and poverty
alleviation.
Software piracy

Recently the so-called finding of IDC mentioned our country has been
ranked with the fourth piracy rate in the world. According to their
study more than 9 out of 10 software installed on new personal computers
in 2006 in our country was unlicensed or obtained illegally through
software theft. There is a big question against the study and certainly
IDC is serving purpose of a few corporate people.

Software piracy pioneers and open source heroes are pitted against one
another regarding to the issue of copyright and piracy. Open source
software is the demand of one group who are advocating that software
needs to be universal and everybody will access it from anywhere in the
world. They claim high commercialisation of software should banned. The
other group is against the pirated software because they say the
industry will never get a boost without handsome value to the works
software engineer. Therefore, pirated software should be prohibited
everywhere in the world.

Although some Western software industries are making special version of
their software for developing countries and offering discount, this is
still not affordable for non-commercial users. That is why, even after
offering these reduced prices, software piracy continues to be rampant
here, as in other developing countries; even in the developed world.

The moral or ethical concept of pirated software is, particularly in
public knowledge, different in those countries that are far behind in
implementing international copyright laws or Intellectual Property (IP)
acts in their countries. In these countries the general mass do not have
much basic idea about what is software piracy, even a number of IT
vendors themselves are not clear about CD piracy being legal or illegal.

Software engineers of our country will not get encouraged while our
authority is neglecting to enforce laws to protect Intellectual
Properties (IP). Primarily we should stop local CD and software piracy
for the sake of encouraging creativity and talent. It is in fact true
that our general computer education and diverse computer use are not so
expensive like some countries because pirated software is available in
our country.
Mobile phone penetration
A study showed to maintain a phone set you have to pay only 14 per cent
cost for mobile phone, 15 per cent for tax and 71 per cent for service
charges. So affordability in keeping a phone set depends on paying phone
bill. So now price of SIM card and phone set is not customers' main
headache.
The mobile phone was so expensive in 1984 in the international market.
About 1800 dollars rich people had to pay for buying the phone sets,
which were even not enriched with many options like the present sets
have. A survey in 2003 showed us less than 100 dollars you need to buy a
set from the international market and its price is declining. Similarly
mobile phone in our country once was out of grip of the commoners. Now
less than 2000 TK you can buy a phone set.
There is significant impact on a country's economic growth for the phone
penetration. Infodensity accelerate growth of GDP. Increase of 10 mobile
phones per 100 people boost GDP by 0.6 percentage points.
In the context of our country it is appearing that mobile phone is
causing teledensity more than computer with Internet. For lack of proper
electricity still we have difficulty in booting up computer use in the
rural areas. But a mobile phone set with better battery you do not need
regular electric charging. The phone is more user-friendly than
computer; illiterate people even can operate the phone for calling and
receiving call. Proper guidance can make them capable to explore other
options of the mobile phones.
Open source
To save huge investment in establishing E-Governance and domestic uses
of software we can popularise open source software besides the
commercial software application. In front of the country there is big
money saving option with open source software. Open source operating
system of Unix and Linux now are more virus protective and server
manoeuvrable than Windows.
Although open source software developers have introduced a different
kind of business. They are saying the 'source codes' of the open source
software to be free for all users. However, based on these 'source
codes', whatever is developed can be sold to clients. Now Red Hat Linux
is offering about 3000 Taka for the software in our country, a price
that is just a little bit high in the context of our country, especially
when Microsoft is offering especial discount for the developing nations.
Cover story of Weekend Magazine of The Independent
23 November
http://www.theindep endent-bd. com <http://www.theindependent-bd.com>
The writer is In-charge of IT and science pages
Cell- 01715245459 after connecting our nation with the global
super-speed- info-highway. have become similar beneficiaries like the
two pioneer outsourcing countries.

Thursday, November 22, 2007

বৈদেশিক বিনিয়োগ সম্পর্কিত চাপাবাজি

চাপা ১: বৈদেশিক বিনিয়োগের ফলে রপ্তানী বাড়ে, আমদানী কমে এবং এর মাধ্যমে
বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্য রক্ষা হয়।

খন্ডন: প্রকৃতপক্ষে বৈদেশিক বিনিয়োগ কোন একটি দূর্বল অর্থনীতির দেশের বৈদেশিক
লেনদেনের ভারসাম্যকে আরও বেশি সংকটাপন্ন করে তোলে। কিভাবে ? আমদানী করা
যন্ত্রাংশ, কাঁচামাল, নকশা, প্রকৌশল-জ্ঞান ইত্যাদির খরচ উত্পাদী পণ্যের রপ্তানীর ফলে
প্রাপ্ত আয়ের চেয়ে বেশি দেখানো হয়। ফলে একদিকে আমদানি খরচ বাবদ বিপুল পরিমান
বৈদেশিক মুদ্রা সরাসরি বিদেশে পাচার করা হয় অন্যদিকে লোকসান দেখানোর মাধ্যমে
বাঁচা যায় ট্যাক্সের হাত থেকেও।
বহুজাতিক কোম্পানিগুলো উত্পাদিত পণ্যটিকে অন্যকোন দেশে অবস্থিত তাদেরই কোন
শাখা/সহযোগি কোম্পানির কাছে বিক্রি করে। আর এই আন্তঃকোম্পানি লেনদেনের মাধ্যমে
রপ্তানী পণ্যের মূল্য তুলনামূলকভাবে কম দেখানো হয়, ফলে সংশ্লিষ্ট দেশটি বৈদেশিক
মুদ্রা এবং ট্যাক্স বাবদ বিপুল আয় থেকে বঞ্চিত হয়। এই পদ্ধতিটি করপোরেট দুনিয়ায়
'ত্রিভুজ বাণিজ্য' হিসেবে ব্যাপক পরিচিত। কম মূল্যেও এই রপ্তানিটি করা হয় এমন
এলাকায় যেখানে ট্যাক্সের হার কম বা একেবারে নেই, যেমন সিঙ্গাপুর বা বারমুডা।
তারপর সেই ট্যাক্সস্বর্গ থেকে পণ্যটিকে প্রকৃত বাজারমূল্যে তার চুড়ান্ত গন্তব্যে রপ্তানি
করা হয়।
আন্তঃকোম্পানি লেনদেনের ক্ষেত্রে ত্রিভুজ বাণিজ্য করা হয় পণ্য উত্পাদনের জন্য
প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি আমদানির বেলায়ও। তবে এ ক্ষেত্রে পণ্যের অব-মূল্যায়নের পরিবর্তে
করা অতি-মূল্যায়ন। উদ্দেশ্য কিন্তু একই- ট্যাক্স ফাঁকি। এভাবে বিনিয়োগ যত বাড়তে থাকে
তার সাথে বাড়তে থাকে পাচার হওয়া বৈদেশিক মুদ্রার পরিমাণ। ২০০৫ সালের মে মাসে
ভেনিজুয়ালার সরকার নব্বই দশকের পর থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত বৈদেশিক কোম্পানিগুলোর
১০০ কোটি ডলারেরও বেশি ট্যাক্স-ফাঁকির এক হিসাব প্রকাশ করে। রাশিয়ার পুরো তেল
এবং গ্যাস সেকটরটিকেই হজম করে ফেলেছে বিদেশী বিনিয়োগকারী এবং তাদের স্থানীয়
দালাল চক্র। এরকম দুটি চক্রের হোতা প্লাটোন লেবেডেফ ও মিখাইল খদরকভস্কি কে ২৯
বিলিয়ন ডলার ট্যাক্স ফাঁকির অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।

চাপা ২: বৈদেশিক বিনিয়োগ একটি দেশের রপ্তানী খাতকে অধিকতর প্রতিযোগিতামূলক করে
তোলে এবং স্থানীয় বাজারেরও বিকাশ ঘটায়।

খন্ডন: প্রকৃতচিত্র হলো বিনিয়োগকারীরা স্বল্পমূল্যে লোভনীয় খনিজ সম্পদ কেনে এবং অতি
অল্প মূল্য সংযোজনের মাধ্যমে বা কোন মূল্য সংযোজন ছাড়াই বিদেশে রপ্তানী করে। এভাবে
কোন মূল্যসংযোজন ছাড়াই মূল্যবান প্রাকৃতিক সম্পদ বিদেশে পাচার করার মধ্যেই রপ্তানী
খাতে প্রতিযোগিতামূলক হওয়ার সকল মহিমা নিহিত!
আর স্থানীয় বাজার সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে দেখা যায় বিভিন্ন সেবাখাত যেমন:
টেলিকমিউনিকেশন ইত্যাদি পুঁজিঘন খাতের ব্যাপক বিকাশের মাধ্যমে বিপুল পরিমান
বৈদেশিক মুদ্রা স্রেফ সামান্য ট্যাক্সের বিনিময়ে বিনিয়োগকারি বহুজাতিক কোম্পানিটি
তুলে নিয়ে যায়। আর পানি, বিদ্যুত, যাতায়াত ও পরিবহন ইত্যাদি খাতে মাত্রাতিরিক্ত
ভাড়া আদায় করার ফলে স্থানীয় বাজারের সংকোচন ঘটে যার ফলাফল স্বরূপ একদিকে যেমন
লোকবল ছাটাই করা হয় অন্যদিকে তেমনি এই সেবাগুলো ক্রমশঃ দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের
মানুষের নাগালের বাইরেও চলে যায়। বলিভিয়ায় নব্বই দশকের মাঝামাঝি সময়ে প্রাকৃতিক
গ্যাস ও তেল খাতের বেসরকারিকরণ এইসব খাতে বৈদেশিক বিনিয়োগের ফলাফল স্বরূপ
বিনিয়োগকারি বিপুল পরিমাণ মুনাফা লুটে নিলেও স্থানীয় অর্থনীতিতে এর প্রতিক্রিয়া হয়
ভয়ংকর। গ্যাস ও পেট্রলিয়াম-জাত পণ্যেও প্লান্টগুলোতে হাজার হাজার শ্রমিক চাকুরিচ্যুত
হয়। অন্যদিকে স্থানীয় নিম্ন আয়ের ভোক্তাদের আওতার বাইরে চলে যায় এসব পণ্য।

চাপা ৩: বৈদেশিক বিনিয়োগের ফলে ব্যাপক কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়, শ্রমিকের মজুরী
বাড়ে এবং জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন হয়।

খন্ডনঃ যে কোন বিনিয়োগের ফলে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হওয়ার বিষয়টি অনেকগুলো সূচকের উপর
নির্ভরশীল: বিনিয়োগের ধরণটি কি শ্রমঘন না পুঁজিঘন, সংশ্লিষ্ট খাতটিতে বিদেশী
বিনিয়োগের ফলে দেশীয় শিল্প-প্রতিষ্ঠানগুলো এর সাথে প্রতিযোগিতায় টিকবে কি না,
যদি না টেকে তবে সে ক্ষেত্রে কর্মসংস্থান হারানো শ্রমিকের তুলনামূলক সংখ্যা ইত্যাদি।
সাধারণভাবে উন্নত পুঁজিবাদী দেশে শ্রমিকের উচ্চ মজুরীর প্রতিক্রিয়া স্বরূপ তৈরী হওয়া
পুঁজিঘন প্রযুক্তি ও যন্ত্রপাতি ও চালনার জন্য তুলনায় অনেক কম শ্রমিকের প্রয়োজন হয়।
ফলে বিনিয়োগের সার্বিক প্রতিক্রিয়া হয়ে দাঁড়ায় ঋণাত্মক।
আর মজুরিরি উচ্চহারের ব্যাপারে বলা যায় তৃতীয় বিশ্বের অনুন্নত একটি দেশের অনুন্নত
একটি কাঠামো থাকা সত্বেও সেসব দেশে বৈদেশিক বিনিয়োগ আসার গুটিকয়েক কারণের
মাঝে একটি হলো সস্তা-শ্রম। যে বিনিয়োগকারী সস্তা শ্রমের জন্য সাত-সমুদ্দর পাড়ি
দিয়ে অন্য একটি দেশে আসে সেই বিনিয়োগকারীর বিনিয়োগের সুফল হিসেবে মজুরীর
উচ্চারকে উপস্থাপন করা স্রেফ হাস্যকর। এ প্রসঙ্গে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সিঙ্গুরে টাটার
প্রস্তাবিত মোটর গাড়ি কারখানায় যে বিশেস পদ্ধতিতে গাড়ি তৈরী করা হবে সেই
'ম্যানটেক' পদ্ধতির কথা উল্লেখ করা যেতে পারে। পেন্টাগণের পৃষ্ঠপোষকতায় ১৯৭৮ সালে
সালে 'ম্যানটেক' নামক প্রকল্পে উদ্ভাবিত পদ্ধতিতে বাড়তি মুনাফার উদ্দেশ্য কী, তা
টাটাদের সিঙ্গুর মোটরগাড়ি প্রকল্পের পটভূমিতে একটু দেখে নেয়া যেতে পারে।
টাটার প্রস্তাবিত মোটর গাড়ি কারখানার মূল কারখানাটি হবে স্রেফ একটি যন্ত্রাংশ
জোড়া দেয়ার কারখানা। কোন যন্ত্রাংশই টাটা কর্তৃপক্ষ উত্পাদন করবে না। সেগুলো
উত্পাদন করবে বিভিন্ন ছোট ছোট ভেন্ডর কোম্পানী। প্রচলিত শিল্প আইন অনুসারে সব
যন্ত্রাংশ যদি টাটার মূল কারখানায় তৈরী হয় তবে এর সঙ্গে জড়িত সব শ্রমিককেই (যার
সংখ্যা সরকারি হিসাবে ১১ হাজার হওয়ার কথা) মোটর গাড়ি শিল্পের প্রচলিত মজুরি
দিতে হতো এবং অন্য সংগঠিত ক্ষেত্রের মত তাদেরও কিছু কিছু অধিকারও সুরক্ষিত থাকতো।
ম্যানটেক ব্যবস্থায় সেদেশের সরকারের বক্তব্য ঠিক হলে ৮০০ জন হবেন মোটর গাড়ি
শিল্পের শ্রমিক, বাকি প্রায় ১০০০০ জন হবেন অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিক যাদের মজুরি,
কাজের সময়, চাকুরির নিরাপত্তা বলতে কিছুই থাকবে না। লেদ মেশিনে যে শ্রমিক কাজ
করবেন, পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান অবস্থা অনুযায়ী তাঁর দৈনিক মজুরি হবে ৮০ থেকে ১০০
টাকা। মটর গাড়ি শিল্পের মজুরি ব্যবস্থা অনুযায়ী দু থেকে আড়াই গুন পাওয়ার কথা। শুধু
ভারতের টাটা কেন, বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান বিদেশী বিনিয়োগকারী বহুজাতিক
মোবাইল কোম্পানিগুলোও ঠিক এই পদ্ধতিতে শ্রম শোষণ করে বিপুল মুনাফা কামিয়ে নিচ্ছে।
বিদেশী বিনিয়োগের ফলে সৃষ্ট কর্মসংস্থান বিষয়ে জাতিসংঘ একটি গবেষণা চালায়।
রিপোর্টটির কিছু অংশ এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করা যেতে পারে:
"বিদেশী ফার্ম সমযোগ্যতার শ্রমিককে স্থানীয় ফার্মেরও চেয়ে বেশী মজুরী দিতে পারে।
এফডিআই যেহেতু দক্ষ শ্রমিক নিয়োগ করে সেহেতু এর ফলে দরিদ্র অদক্ষ শ্রমিকের কোন
উপকার হয় না বরং দক্ষ/অদক্ষ শ্রমিকের শ্রম-পার্থক্য বেড়ে যায়............।"
প্রতিবেদনটিতে আরো বলা হয়েছে:
"বৈদেশিক ফার্ম স্থানীয় ফার্মের চেয়ে বড় হয় এবং ফলে এটা ধরে নেয়া স্বাভাবিক যে
নতুন নতুন ক্ষেত্রে বৈদেশিক বিনিয়োগ স্থানীয় বিনিয়োগের চেয়ে অধিক কর্মসংস্থান
করবে। কিন্তু বৈদেশিক বিনিয়োগ ছুটতে থাকে স্থানীয় শিল্পগুলোর একীভবন ও আত্মীকরণের
পেছনে। ফলে কর্মসংস্থান বাড়বেই একথা বলা যায় না। যদি বিদেশী কোম্পানীগুলো
অধিকতর পুঁজিঘন হয় তবে শিল্পখাতে কর্মসংস্থান কমে যাবে(যদিও কিছু শ্রমিকের আয়
বাড়তে পারে!)। যদি সেই কোম্পানী স্থানীয় কোম্পানীর সাথে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়
তবে অর্থনীতির অন্যান্য খাতেও কর্মসংস্থান কমে যাবে.............।"

চাপা ৪: বৈদেশিক বিনিয়োগের ফলে গ্রহীতা দেশটি প্রযুক্তিগত ভাবে উন্নত হতে পারে।
বৈদেশিক বিনিয়োগ না হলে একটি অনুন্নত দেশের পক্ষে যা অসম্ভব।

খন্ডনঃ বাস্তবে "প্রযুক্তি স্থানান্তরের" মানে হলো পুঁজিঘন জটিল যন্ত্রপাতির স্রেফ
ব্যবহারের কলাকৌশল রপ্তানী। আর কোন একটি প্রযুক্তি গুটিকয়েক শ্রমিক স্রেফ ব্যবহার
করা শিখলেই সে দেশ প্রযুক্তিতে উন্নত হয় না। এর প্রয়োজন দেশটির বিজ্ঞান ও
প্রযুক্তিতে নিজস্ব গবেষণাকে শক্তিশালী করা। বহুজাতিক কোম্পানী কেবল তার মুনাফার
জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি রপ্তানী করে, সেসব যন্ত্রপাতি চালনা ও মেরামতের জন্য
বিদেশী পরামর্শ নিয়োগ করে কিন্তু কখনই তার গবেষণাগারটিকে স্থানীয় পর্যায়ে
সম্প্রসারিত করে না। যে কারণে গ্রহীতা দেশটি সেই প্রযুক্তির জন্য বিভিন্নভাবে
বিনিয়োগকারী কোম্পানী এবং তার দেশের উপর আরো বেশী নির্ভরশীল হয়ে পড়তে থাকে।
ফলে, বিনিয়োগের ফলে প্রযুক্তি স্থানান্তর বলতে যা ঘটে তা হলো বিনিয়োগকারী
কোম্পানীর সহযোগী যন্ত্র উত্পাদনকারী কোম্পানীর আরেকটি নতুন বাজার সৃষ্টি হয়।
আবার অনুন্নত অবকাঠামো থাকা সত্বেও যে কয়টি কারণে বৈদেশিক বিনিয়োগ একটি অনুন্নত
দেশে আসে তার একটি কারণ ইতিপূর্বে বলা হয়েছে- শ্রমের নিম্ন মূল্য। আরেকটি বড় কারণ
হলো বিশ্বজুড়ে ক্রমশ গড়ে উঠা পরিবেশ সচেতনতা। বিনিয়োগকারী কোম্পানী যখন নিজ
দেশে ক্রমাগত পরিবেশের হুমকি স্বরূপ প্রযুক্তিটি ব্যবহারে বাঁধা পেতে থাকে এবং ফলত:
কারখানার বর্জশোধনে উত্পাদন ব্যয় ক্রমাগত বাড়তে থাকে তখন সেই কোম্পানীটি বৈদেশিক
বিনিয়োগের মহান কর্মটি সম্পন্ন করে।

এসকল কারণে যতদিন যাচ্ছে ততই বৈদেশিক বিনিয়োগ নিয়ে বিশ্বব্যাংক, আই.এম.এফ.,
বহুজাতিক কোম্পানী ও তাদের স্থানীয় দালালদের করা চাপাবাজি জনগণের কাছে পরিস্কার
হয়ে আসছে। তৃতীয় বিশ্বের দেশে দেশে জনগণ বৈদেশিক বিনিয়োগের নামে প্রাকৃতিক সম্পদ
লুন্ঠন, সস্তা-শ্রম শোষণ, আর জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের ক্ষতি সাধনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ
গড়ে তুলছে। বিশেষত ল্যাটিন আমেরিকার দেশগুলোতে একের পর যে গণজাগরণ ঘটে চলেছে
তার অন্যতম অনুঘটক হলো বিনিয়োগের নামে এই সম্পদ লুন্ঠনের বিরুদ্ধে জনগণের পুঞ্জীভুত
ক্ষোভ। যেহেতু জনগণ উপলব্ধি করছে যে এই বিনিয়োগের নামে সম্পদ লুন্ঠন অনুমোদনের
সিদ্ধান্তটি একান্তই রাজনৈতিক এবং এর সাথে রাষ্ট্রক্ষমতার সম্পর্কটি যুক্ত, তাই সেই
গণ আন্দোলন গুলো স্বাভাবিকভাবে চালিত হচ্ছে চুড়ান্ত অর্থে রাষ্ট্র-ক্ষমতা দখল এবং তার
মাধ্যমে একটি সামাজিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে তোলা যার মূলনীতি মুনাফার বদলে হবে
সাম্য ও ন্যায়।
- দিনমজুর <http://www.somewhereinblog.net/blog/dinmojurblog>
http://www.somewhereinblog.net/blog/dinmojurblog/28746213/

অর্থনৈতিক বৈষম্যঃ বিশ্ব-পরিস্থিতি

২০০৬ সালের ডিসেম্বর মাসে জাতিসংঘ বর্তমান বিশ্বে ব্যক্তিগত সম্পদের বৈষম্য
সম্পর্কিত যে রিপোর্টটি প্রকাশ করে তা থেকে প্রকৃত চিত্রের একটি আংশিক ধারণাই আমরা
পেতে পারি, যে চিত্রে আমরা দেখি বিশ্বের ধনীতম অংশটির হাতে বিশ্বসম্পদের
সিংহভাগ কেন্দ্রীভূত হতে এবং উল্টাদিকে বাকি বিশ্বের কাছে আছে সীমাহীন দারিদ্র ও
অর্থনৈতিক অনিশ্চিয়তা।

ওয়ার্ল্ড ইনস্টিটিউট ফর ডেভলোপমেন্ট ইকোনোমিক রিসার্চ (WIDER)- ২০০০ সাল থেকে
সংগৃহীত ডাটার উপর নির্ভর করে যে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে তাতে দেখা যায়, দুনিয়ার
প্রাপ্তবয়স্ক মানুষদের শীর্ষ ১% (প্রায় ৩৭ মিলিয়ন লোক) এর হাতে আছে দুনিয়ার মোট
সম্পদের ৪০%। শীর্ষ ২% এর হাতে আছে ৮৫% সম্পদ। এখানে সম্পদের হিসাবটি করা হয়েছে
শুধুমাত্র মানুষের বৈষয়িক ও অর্থনৈতিক সম্পদকে গণনায় নিয়ে।
অপরদিকে, দুনিয়ার প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে তলানির অর্ধেক মানুষের(১.৮৫ বিলিয়ন লোক)
হাতে আছে দুনিয়ার মোট সম্পদের মাত্র ১%।
এ থেকে বুঝা যায় যে, দুনিয়ার শীর্ষ ১% লোকের হাতে যে সম্পদ আছে তা তলানির ৫০%
লোকের মোট সম্পদের তুলনায় ৪০ গুন এবং তলানির ৯০% লোকের মোট সম্পদের ৩ গুন।
অন্যভাবে, রিপোর্টটিতে প্রকাশক বলেছেন, " গড়ে শীর্ষ ১০% লোক, তলানির ১০% লোকের
চেয়ে ৩০০০ গুন ধনী এবং শীর্ষ ১% লোক তলানির ১% লোকের চেয়ে ১৩,০০০ গুন ধনী"।
রিপোর্টটি প্রস্তুতির সময় শুধু ২০ বছর বয়সী বা তদুর্ধ্বদেরকে গণনায় ধরা হয়েছে। এই
রিপোর্টটিতে কিছু সীমাবদ্ধতা ছিল, তা হল- ব্যাপক হারে তথ্য বা ডাটার অপ্রতুলতা,
বিশেষত দরিদ্রতর দেশসমূহের ডাটা ছাড়াই এই গবেষণাটি চালানো হয়, সেই সাথে
দুনিয়ার শীর্ষমাত্রার ধনীদের অভ্যন্তরীন অনেক কিছুই এর আওতামুক্ত থেকে গেছে।
প্রকৃতপক্ষে, দুনিয়ার মোট সম্পদের আরো অনেক বড় অংশ কেন্দ্রীভূত হয়ে আছে শীর্ষ ১% এর
এক দশমাংশ লোকের হাতেই।
গবেষণাপত্রটি বিশ্বের অর্থনৈতিক বৈষম্যের এই চিত্র উপস্থাপনের সাথে সাথে আঞ্চলিক
বৈষম্যও তুলে ধরেছে। যথারীতি বিশ্বসম্পদের সিংহভাগ কেন্দ্রীভূত আছে খুব অল্প কয়টি
দেশে। এবং এই 'ধনীতম'' দেশেও আছে বিশাল বৈষম্য।
যুক্তরাষ্ট্রে মাথাপিছু গড় সম্পদ ১৪৪,০০০ ডলার, এবং এটি দুনিয়ার দেশসমূহের মধ্যে
সর্বোচ্চ, যেখানে ভারতে মাথাপিছু গড় সম্পদের পরিমাণ ৬৫০০ ডলার, যেটি সর্বনিম্ন
(যেসব দরিদ্র দেশের ডাটা পাওয়া গেছে তাদের মধ্যে)। আর, যুক্তরাষ্ট্রেই সবচেয়ে
বেশী সম্পদ কেন্দ্রীভূত আছে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ ১% এর কাছে আছে দেশটির মোট সম্পদের ৩২.৭%,
এই হিসাবে যুক্তরাষ্ট্র দ্বিতীয়তে অবস্থান করছে, কেননা প্রথম অবস্থানটি
সুইজারল্যান্ডের। সুইজারল্যান্ডের শীর্ষ ১% এর কাছে আছে ৩৪.৭%।
WIDER এর রিপোর্টে বিভিন্ন দেশ ও এলাকা অনুযায়ী সম্পদের বৈষম্যের চিত্রও তুলে ধরা
হয়েছে। উদাহরণ হিসাবে বলা যায়, দুনিয়ার সম্পদধারীদের মধ্যে শীর্ষ ১০% ও শীর্ষ ১%
এর উল্লেখযোগ্য অংশই যুক্তরাষ্ট্রের (যথাক্রমে ৩৭% ও ২৫%)। আবার যুক্তরাষ্ট্রের মোট
জনগণের(২০ বছরের উর্ধে) ৪৫.৫% ই (৯২ মিলিয়ন লোক) দুনিয়ার শীর্ষ ১০% সম্পদধারী
লোকের তালিকায় অবস্থান করে।

এই হচ্ছে, সংক্ষেপে, রিপোর্টটি দ্বারা প্রকাশিত বর্তমান দুনিয়ার অর্থনৈতিক বৈষম্যের
চালচিত্র, যদিও এই চিত্র পূর্ণাঙ্গ নয় এবং পূর্ণাঙ্গ চিত্র আরও ভয়ঙ্কর।
এবং এই ভয়াবহ চিত্রটি বর্তমান সভ্য জগতকে প্রতিনিয়ত উপহাস করছে, কিন্তু বিশ্বের
সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ অসংগঠিত ও প্রতিবাদহীন হওয়ায় তা দিনে দিনে আরও ভয়াবহ ও নৃশংস
হচ্ছে।

(মূলঃ জো কে)

Wednesday, November 21, 2007

The 'DIGITAL DIVIDE' between SIDR and Katrina

This is not an attempt to point fingers. Let's look at the harsh realities.
It is meaningless comparing hazards. Perfect statistics about the
damages too are not available. With that in mind we see whatever the
available information about some of the past hazards (may not be
accurate) show that whenever it happened in a developing country, the
number of casualties and displaced is significantly higher, compared to
the financial damage reported.
These are some of the recent disasters with the impact (Information from
Wikipedia).
• In 1991, a cyclone in Bangladesh killed 138,000 and left 10 million
homeless.
No reports about the financial loss.
• In 1995, Great Hanshin (Kobe) Earthquake in Japan killed 6,400 people
and caused about USD 200 billion damages, 2.5% of Japan's GDP at the time.
• In 2004, Dec the Asian tsunami killed 38,000 in Sri Lanka and resulted
in a USD 1 billion damages.
• In 2005, Hurricane Katrina killed 1,600 - 1,800 but the financial
losses were as high as USD 25-100 billion.
• In 2005, Kashmiri earthquake caused 80,000 - 100,000 deaths and
financial loss was USD 5 billion.
• In 2006, May an earthquake in Java killed nearly 6,000. No information
about the financial loss but 135,000 homes were reported damaged while
1.5 million left homeless.
See a pattern? In case of Kobe and Katrina the financial losses were
significantly high, but the casualties are relatively less. In other
cases it might be the opposite.
It is not scientific to draw conclusions but this can be an indication
that developing country populations are more vulnerable to disasters –
not necessarily they are poor, but less informed, less connected and the
disaster management processes of their governments are not
effective/efficient enough.
Bangladesh authorities say they have taken all possible steps.
Otherwise, they claim, the casualties would have been millions. This
might be partially true. But can we be complacent about it? Can we wait
till the next disaster results in equally higher number of casualties?
I do not want to compare the numbers with those related to similar
mishaps in the past. Of course Bangladesh has transformed since 1970 and
1991. The question is not whether the performance better compared to
1970 and 1991, but whether it is better or at least in par with what is
elsewhere today. Should we treat SIDR and Katrina differently?
Let us not forget effective Disaster Management always boils down to few
simple questions.
1. How fast the national authorities learn about the impending disaster?
2. How fast they can decide to issue a warning/alert or ignore (if there
is no danger)?
3. How fast that message can be conveyed to the vulnerable communities?
4. What mechanisms are available to convey a warning/alert during the
short period available?
5. How informed the communities are to take action on hearing the
warning/alert?
6. Are there shelters (high grounds etc)available?
7. In the aftermath how quickly the victims be reached?
8. What mechanisms are there to provide immediate relief for victims?
9. Are there adequate resources to provide immediate relief?
10. If not what is the mechanism to find resources for relief?
Not all, but most of these point can be effectively addressed with the
right ICT
infrastructure and capacity building. So the conclusion is, unless these
two activities are carried out effectively the communities continue to
be vulnerable, no matter what the governments assure. Please do not take
anything promised unless you do not see an effective communication
infrastructure or informed and connected population.
For those who seek more information:
LIRNEasia's Hazinfo project may be a guide for practitioners. Project
information is available at *http://www.lirneasi a.net/projects/
current-projects /evaluating- last-mile- hazard-informati
on-dissemination -hazinfo*
<http://www.lirneasia.net/projects/current-projects/evaluating-last-mile-hazard-information-dissemination-hazinfo>
Even better, two parts of a video clip are available at
*http://www.youtube. com/watch? v=riFafNpeM_ M*
<http://www.youtube.com/watch?v=riFafNpeM_M> and *http://www.youtube.

com/watch? v=wMjlj7dV5tQ&feature=related*
<http://www.youtube.com/watch?v=wMjlj7dV5tQ&feature=related>

Also have a look at other disaster managment related posts at

www.lirneasia. net <http://www.lirneasia.net>

By- Chanuka Wattegama

Thursday, November 15, 2007

কে বিচার করবে! একদিকে ঘূর্ণিঝড় অন্যদিকে গ্রামীণফোনের বিতলামী

গ্রামীণ ফোনের কার্যকলাপ ইতোমধ্যে অনেক কাহিনীর জন্ম দিয়েছে। একবার দেখলাম গ্রামের গরিব মানুষের ক্ষমতায়ন করেছ-এ কথা বলে জিএসএম থেকে পুরঙ্কার ভাগিয়েছে। লোকে বলে গ্রামীণ ফোনের লাভ-ক্ষতি নিয়ে বেশি খেচখেছ করবে না - এ শর্তে ড. ইউনুস নোবেল পেয়েছেন। সে যাই হোক ইতোমধ্যে জিপি তার গ্রাহকদের সাথে কী ধরনের সম্পর্ক রক্ষা করেছ, কত টাকা কামাই করছে, কত টাকা সামাজিক উন্নয়নে বিনিয়োগ করছে, কতটাকা নরওয়েতে নিয়ে যাচ্ছে- এসব নিয়ে আমাদের কথা বলা দরকার। আমরা মানে পত্রিকাওয়ালা, চ্যানেলওয়ালা, দাতা গোষ্টি, এনজিও নয়। আমরা মানে আমজনতা-যারা জিপির সেবা গ্রহণ করি এবং মুনাফা'য় যোগান দেই। আমরা উর্পযুক্ত বিষয়ে প্রশ্ন তোলা দরকার।

লেখাটি লিখতে লিখতে আমার নিজের ফোনেই একই এসএমএস পেলাম। কপাল আমার!

মুকুল যে প্রশ্নটি তুলেছেন তা খুবই প্রাসিঙ্গক। আমরা এখন কী আশা করছি, বিশেষত উপকূলের মানুষ? এ মাত্র সাতক্ষীরা থেকে মোহনের মেইল পেলাম। মোহন প্রার্থনা করতে বলেছে তার এলাকার মানুষরা যেন `হারিকেন'র ধকল সইতে পারে। কাল সকালে যেন মানুষ প্রকৃতি দেখতে পায়; কারো লাশ দেখতে না হয়। এটা একজন মাত্র মোহনের মেইল। তার সাথে ১০ জন/ ২০ জন কিংবা ৩০/৫০ অথবা ১০০ জন সম্পৃক্ত। এদের সাথে মোহনের কোন শর্ত নেই কিংবা মুনাফা আয় রোজগারের বিষয়। তবুও তার এতটা উৎকন্ঠা।
কিন্তু গ্রামীণ ফোনের সাথে ১০ কিংবা ১০০ জন নয়; সারা দেশ সম্পৃক্ত। তাদের বিজ্ঞাপন মতে গ্রাহক সংখ্যা ১ কোটি (?)। আমরা এ কোটি মানুষ তাদের মুনাফার যোগানদাতা। আমাদের পকেটের টাকা তাদের ব্যাংকে জমা হয়। এই যদি আমাদের সম্পর্ক হয় তাহলে গ্রামীণ ফোন আমাদের এ দুর্যোগে আমাদের জন্য আসলেই কী করছে?

মোবাইল ফোন ব্যবহার করে কিভাবে জনগণের উপকার করা যায় তার প্রমাণ সারা দুনিয়াতে আছে। আর কত খারাপ করা যায় তার প্রমাণও আছে- তবে তার বেশিরভাই বাংলাদেশে। ইয়ারা, অস্ত্র, খুন, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস, নারী নির্যাতন- এসবের পেছনে সহায়ক শক্তি এ সেল ফোন। মাশাল্লাহ জিপির `ডিজুস' প‌্যাকেজের তো আর কথাই নাই। প্রায় একটি জেনারেশন তারা শেষই করেছেন। এটা অবাক হবার বিষয় হবে না, যদি আমরা শুনতে পাই বিনা পয়সায়/ কম দামে কথা বলার জন্য ছেলেরা রাতে ইয়ারা খেয়ে জেগে থাকত।

আসলেই এ কথায় সূত্র সন্ধান করা উচিত আমাদের। এবং প্রমাণ সাপেক্ষে মামলাও করা দরকার।

ফিলিপাইনে জনগণের রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করতে এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন তৈরিতে মোবাইলের ফোনের কেরামতি ছিল সব'চে বেশি। ঔখানে এসএমএসের মূল্য নামমাত্র। কোম্পানিগুলো এসএমএসের দাম বাড়াতে চেয়েছিল। কিন্তু জনগণ স্পিকারের অফিস ঘেরাও করে তা পর্যন্ত করতে দেয়নি। আর আমাদের মোবাইল ফোন কম্পানিগুলান আমাদের পারলে শাসন করে। লাল-সবুজ মাত্রা তাদের একটি লোগো ছিল-ইউনুস মিয়ার পছন্দের। টেলিনরের বাচ্ছারা তা পর্যন্ত বদল করেছে কিন্তু ইউনুস মিয়ারে একবার জিজ্ঞাসিনি।
ইন্ডিয়াতে বর্তমানে `রিয়েল টাইম সুনামি এল্যাট'র ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। মানুষ প্রতি সেকেন্ডে সুনামি সংক্রান্ত তথ্যাদি পাবে। এবং এ রকমভাবে একটি সেবা দেয়া আমাদের মোবাইল ফোন কম্পানিগুলোর জন্য কোন বিষয়ই ছিল না।

কিন্তু না। তারা তা করেনি। কখনো করেনি। করে না।

আমাদের দুর্যোগ সংক্রান্ত তথ্য দেয়া নেবার ক্ষেত্রে এখন নাগাদ কোন ভালো ব্যবস্থা নেই। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তা মানুষনির্ভর মুখে মুখে তথ্য প্রেরণ ব্যবস্থা। টিভি রেডিও থাকলেও তা বিপদের সময় ঠিকমত তথ্য দেয় না এবং তা রিয়েল টাইম তথ্য নয়। আবার পিকুলিয়ার ব্যাপার দেখলাম আজ বিটিভি'তে, তারা টর্নেডো উপলক্ষে হাম-নাতের আসর জমিয়েছে। মানুষ কী করবে কী প্রস্তুতি নিবে তা কোন কথা নাই- উল্টা মানুষের মনের মধ্যে ভীতি তৈরি করছে। ভাবখানা এমন- আল্লাহ'র মাল আল্লাহ'য় নিবে; সমস্যা কী?

দীর্ঘদিন থেকে আমরা বলে আসছি এ সমস্যা নিরসনে কমিউনিটি রেডিও চালু করতে। কিন্তু সরকার এ কথা কানেও তোলে না। তাদের আবার ভয়; পাছে কমিউনিটি রেডিও ব্যবহার করে কেউ যদি তাদের স্বাধীনতা দাবি করে বসে! তাই তারা কমিউনিটি রেডিও লাইসেন্স দিচ্ছেন না।

এক্ষেত্রে মোবাইল ফোন কম্পানিগুলান এগিয়ে আসতে পারতো। তারা জানে বিপদশঙ্কুল ১৫টি উপকূলীয় জেলা তাদের কতটি টাওয়ার আছে এবং এ টাওয়ারগুলোর আওতায় কতগুলো কানেকশান আছে। প্রতিটি কোম্পানি যদি উক্ত কানেকশানগুলোতে এসএমএস দিয়ে এ বিপদের তথ্য দিতো তাহলে মানুষ সহজে এ বিষয়ে তথ্য পেত এবং প্রস্তুতি নিতে ও জানাতে সহজ হতো। একই সাথে মানুষ প্রস্তুতি নিতে কোথায় কী সমস্যায় রয়েছে তা জানানোর জন্য তারা `শর্টকোড' যেমন, ৩৪৫ দিয়ে একটি হটলাইন শুরু করতে পারতো কিন্তু তারা কেউ তা করেনি।
গ্রামীণ ফোন তাদের সিএসআর `কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপন্সসিবিলিটি' থেকে নানা কাজের পিরিস্তি দেয়। গ্রামে গ্রামে উদ্যোক্তা তৈরি এ তথ্যসেবা নামে তারা সাইবার ক্যাফে `সিআইসি' তৈরি করছে। `সিআইসি' হোক-আমরাও তা চাই কিন্তু তা গরিব মানুষের কতখানি উপকারে লাগে তা দেখতে হবে।

আমরা চাপ তৈরি করা দরকার
১. জাতীয় দুর্যোগের সময় মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলো যেন বিনামূল্যে তথ্যসেবা নিশ্চিত করে; এটি ভয়েস কিংবা এসএমএস যাই হোক না কেন!
২. একই সাথে দুর্যোগকালীন সময়ে `শর্টকোড' কিংবা লংকোড হটলাইন চালু করা!
৩. বিপদ সংক্রান্তু এসএসএস সমূহ বাংলা ভাষায় দেওয়া; যেন মানুষ সহজে বুঝতে পারে। প্রয়োজনে তা ইমেজ আকারে দেওয়া!
৪. দুর্যোগপ্রবল এলাকায় `ইনফো সেন্টার তৈরি করা বা তৈরিতে সহায়তা করা;
৫. মোবাইলের কলরেট কমানো
৬. মোবাইল ফোন কম্পানিগুলোর সিএসআর নিশ্চিত করা এজন্য প্রয়োজনে পাবলিক হেয়ারিং করা এবং সোশ্যাল অডিট পরিচালনা করা;
৭. গ্রামীণ ফোনের মুনাফা সাথে সম্পৃক্ত এসএমএস দেয়া বন্ধ করা; যদি এ জাতীয় এসএমএস দিতে হয় তাহলে এ জন্য গ্রাহকের সাথে চুক্তিবদ্ধ হওয়া। (ভোদা ফোন তার গ্রাহকদের বিভিন্ন বিজ্ঞাপন পাঠায়, এ জন্য গ্রাহকের সাথে কম্পানি চুক্তি থাকে এবং কম্পানি তার জন্য গ্রাহককে টাকা দিতে হয়।

এ মাত্র বিডি নিউজে দেখলাম,
`অন্য কোনো মোবাইল অপারেটরকে কিনে নিতে পারে গ্রামীণ ফোন'; যদি সত্যি এ ধরণের কোন বিষয় শেষ নাগাদ ঘটে তাহলে তা বাজারের পরিবেশকে যেমন নোংরা করবে একই সাথে তাদের মনোপলি ব্যবসার সুযোগ আমাদের বেশি বেশি ঠকাবে। তাই ফোন কম্পানিগুলোর শেয়ার বাজারে ছাড়ার জন্য এদের আরো জোরশোর চাপ দিতে হবে। কম্পানিগুলোতে মানুষের প্রতিনিধিত্ব তৈরি হলে এদের স্বেচ্ছাচারিতা কমবে।

Wednesday, November 14, 2007

সোয়াশ বছরে এ জনপদে ৮০টির বেশি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়

গত একশ পঁচিশ বছরে ৮০টিরও বেশি বড় ধরনের ঘূর্ণিঝড় এ অঞ্চলে আঘাত হেনেছে। মারা গেছে ১০ থেকে ১৫ লাখ মানুষ। ঘর ছাড়া হয়েছে আরও কয়েক লাখ মানুষ। বুধবার আবহাওয়াবিদদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানাচ্ছেন মারুফ মল্লিক। ১৮৭৬ সাল। তখন বরিশাল ছিল বাকেরগঞ্জ। ওই বছর বাকেরগঞ্জের ওপর আঘাত করা ঘূর্ণিঝড়টির গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ২২০ কিলোমিটার। এটি 'গ্রেট বাকেরগঞ্জ স্টর্ম' নামে পরিচিত। উপকূলীয় এলাকা ১০ মিটার উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হয়েছিল। কেউ কেউ ১৬ মিটার উচ্চতার জলো"চ্ছ্বস হয়েছিল বলেও দাবি করে থাকে । ১৮৭৬ সালের ১ নভেম্বরের ওই ঝড়ে সব মিলিয়ে ২ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। ঝড়ের সঙ্গে সঙ্গে এক লাখ মানুষ মারা যায়। ঝড়ের পর বিভিন্ন রোগব্যাধিতে মারা যায় আরও এক লাখ। ওই সময়ের জনসংখ্যার হিসাবে এটি বড় ধরনের এক বিপর্যয়। আবহাওয়া অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক সাজেদুর রহমান বিডিনিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "আমাদের দেশে মুলত এপ্রিল-মে এবং অক্টোবর, নভেম্বর ও ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে ঘুর্ণিঝড় আঘাত হানে। পর্যবেক্ষণে দেখা যায় শীত ও গ্রীস্মের মাঝামাঝি সময়ে ঘূর্ণিঝড়ের প্রবনতা বেশি থাকে। এর কারণ হচ্ছে এ সময় আবহাওয়া পরিবর্তন হতে থাকে।" ১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বর 'ভয়াল ১২ নভেম্বর' হিসাবেই পরিচিত। এদিন দক্ষিণ বাংলার বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী ও ভোলার ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ২২২ কিলোমিটার বেগে বয়ে যাওয়া ঝড়ের স্মৃতি কেউ ভোলেনি। উপকূলীয় এলাকা ১০ মিটার উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হয়েছিল। ওই ঝড়ে কমপক্ষে ৫ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। তবে কোনো কোনো হিসাব মতে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ১২ লাখ। উপকূলের বাতাস ভারী হয়ে উঠেছিল লাশের গন্ধে। জলো"চ্ছ্বসে প্লাবিত হওয়ায় অনেকের জন্যই কবরের জায়গা পাওয়া যায়নি। ১৯৮৫ সালের উড়ির চরে ঘণ্টায় ১৫৪ কিলোমিটার বেগে বয়ে যাওয়া ঝড়ে মারা গিয়েছিল ১১ হাজার মানুষ। এপ্রিল মাসের ২৪/২৫ তারিখে বয়ে যাওয়া ওই ঝড়ে ১৫ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হয়েছিল। ১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিল চট্টগ্রামসহ উপকূলের ওপর দিয়ে বয়ে যায় ঘণ্টায় ২২৫ কিলোমিটার বেগের ঘূর্ণিঝড়। ২৫ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে মারা গিয়েছিল ১ লাখ ৪০ হাজার মানুষ। প্রলয়ংকরী এ ঘূর্ণিঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। ১৯৯৭ সালের ২৯ নভেম্বর চট্টগ্রাম এলাকার ওপর দিয়ে ২২৪ কিলোমিটার বেগে ঘূর্ণিঝড় বয়ে যায়। ৬ দশমিক ১ মিটার উচ্চার জলোচ্ছ্বাস ও ঝড়ে এ সময় মারা যায় ১ লাখ ৩৮ হাজার মানুষ। এছাড়াও ১৯৬০, ১৯৬১, ১৯৬৩, ১৯৬৫, ১৯৯৪, ১৯৯৫, ১৯৯৮, ২০০৩ সালে ঘুর্ণিঝড় আঘাত হানে। এ অঞ্চলের ওপর দিয়ে সবচেয়ে পুরনো ঝড়ের তথ্য পাওয়া যায় ঐতিহাসিক গ্রন্থ 'আইন ই আকবরী ' ও 'রিয়াজ-উস সালাতিন' এ। এতে বলা হয়েছে ১৫৮২ সালে এক ঝড়ে ২ লাখ মানুষ মারা যায়। ৫ ঘণ্টাব্যাপী হারিকেনের শক্তি সম্পন্ন এ ঝড়ের তাণ্ডবে বর্তমান বরিশাল ও পটুয়াখালী এলাকায় ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়ে যায়। কেবল শক্ত ভিতের ওপর স্থাপিত মন্দিরগুলো সে সময় টিকেছিল। একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের 'নিরাপদ বার্তা ' নামে একটি প্রকাশনায় বলা হয়েছে, ২০০১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকার ওপর দিয়ে ছোট বড় ৮৩টি ঘূর্ণিঝড় বয়ে গেছে। জানুয়ারি, ফেব্র"য়ারি, মার্চ ও জুলাই মাসে এ পর্যন্ত কোনো ঘূর্ণিঝড় হয়নি। এপ্রিল মাসে ৪টি, মে মাসে ২১টি, জুন মাসে ৯টি, আগস্ট মাসে ১টি, সেপ্টেম্বর মাসে ৬টি, অক্টোবর মাসে ২৩ টি, নভেম্বর মাসে ১৩টি এবং ডিসেম্বর মাসে ৬টি ঘূর্ণিঝড় আঘাত করে ।

- মারুফ মল্লিক বিডিনিউজ টুয়েন্টিফোর নভেম্বর ১৪, 2007

Monday, October 15, 2007

Indian Tsunami warning system goes live

*Hyderabad:* The Union Minister for Science and Technology and Earth
Sciences Kapil Sibal on Monday inaugurated the National Tsunami Early
Warning System set up at the Indian National Centre for Ocean
Information Services (INCOIS) in Hyderabad.

The System has been established by MoES as the nodal ministry at a cost
of Rs 125 crore in collaboration with Department of Science and
Technology (DST), Department of Space (DoS) and the Council of
Scientific and Industrial Research (CSIR).

The Indian Tsunami Early Warning System comprises a real-time network of
seismic stations, Bottom Pressure Recorders (BPR) and tide gauges to
detect tsunamigenic earthquakes and to monitor tsunamis.

The Early Warning Centre receives real-time Seismic data from the
national seismic network of the lndian Meteorological Department (IMD)
and other International seismic networks.

The system detects all earthquakes of more than six magnitude occurring
in the lndian Ocean, in the less than 20 minutes of occurrence.

The National Institute of Ocean Technology (NIOT) has installed four
BPRs in the Bay of Bengal and the two BPRs in Arabian Sea. BPRs
installed in the deep ocean are the key sensors to confirm the
triggering of a Tsunami.

In addition, NIOT and Survey of India (SOI) have installed 30 Tide
Gauges to monitor the progress of tsunami waves. Integrated Coastal and
Marine Area Management (ICMAM) has customized and ran the Tsunami Model
for five historical earthquakes and the predicted inundation areas.

Communication of real-time data from seismic stations, tide gauges and
BPRs to the early warning centre is very critical for generating timely
tsunami warnings.

The inundated areas are being overlaid on cadastral level maps of 1:5000
scale that is extremely useful for assessing the population and
infrastructure at risk.

High-resolution Coastal Topography data required for modelling is
generated by the National Remote Sensing Agency (NRSA) using ALTM and
Cartosat Data.

INCOlS has also generated a large database of model scenarios for
different earthquakes that are being used for operational tsunami early
warning.

Tsunamigenic zones that threaten the Indian Coast have been identified
by considering the historical tsunamis, earthquakes, their magnitudes,
location of the area relative to a fault, and also by tsunami modelling.

The east and west coasts of India and the island regions are likely to
be affected by tsunamis generated mainly by subduction zone related
earthquakes from the two potential source regions, viz., the
Andaman-Nicobar- Sumatra island arc and the Makran subduction zone north
of Arabian Sea.

Indian Space Research Organisation (ISRO) has made an end-to-end
communication plan using INSAT.

A state-of-the-art early warning centre has been established at INCOlS
with all the necessary computational and communication infrastructure
that enables reception of real-time data.

The National Early Warning Centre will generate and disseminate timely
advisories to the control room of the Ministry of Home Affairs for
further dissemination to the Public.

Seismic and sea-level data are continuously monitored in the Early
Warning Centre using a custom-built software application jointly
developed with MIS and Tata Consultancy Services (TCS) that generates
alarms alerts in the warning centre whenever a pre-set threshold is crossed.

The efficiency of the end-to-end system was proved during the large
undersea earthquake of 8.4 M that occurred on September 12, 2007 in the
Indian Ocean.

For the dissemination of alerts to MHA a satellite-based virtual private
network for disaster management support (VPN DMS) has been established.

In case of confirmed warnings, the National Early Warning Centre has
been equipped with necessary facilities to disseminate the advisories
directly to the administrators, media and public through SMS, e-mails,
and Fax.

Periodic workshops will be organized for the user community to
familiarize them with the use of tsunami and storm surge advisories as
well as inundation maps.

Easily understandable publicity material on earthquake, tsunami and
storm surges has been generated and will be distributed to the general
public.

(this is not my own write-up; I have saved it for my documentation)

Thursday, October 4, 2007

Free e-mail service that bridges the gap between mobiles and computers

The fierce battle for control of the web's free e-mail accounts, worth
billions of pounds, has stepped up a gear with Yahoo! offering a
revamped service with features aimed at bridging the gap between
web-based e-mail and mobile phones.

The new offering, which is accessed through an internet browser, allows
users to send text messages from computers to mobile phone handsets -
for free.

The service has been lauded by Walter Mossberg of the Wall Street
Journal, the doyen of gadget reviewers, as the best out of the e-mail
services provided by the "big four" â€" of Yahoo!, Google, Microsoft and
AOL.

The feature works on certain phones in the US, Canada, India and
Portugal, for the time being, but Yahoo! is looking at introducing it in
other countries, including the UK. The company believes that in coming
years, more people will access the web through mobile phones than
computers.

*George Hadjigeorgiou, head of e-mail for Yahoo! in Europe, said: "We
are focused on making it easy for people to connect to those who matter
most to them." *

The prize in the contest to lure e-mailers is a multi-billion- dollar
advertising market. E-mail is regarded as one of the three fundamental
pillars of e-commerce by Wall Street's analysts - alongside internet
search and online video.

Mobile advertising alone is expected to be worth some $11 billion (£5.5
million) a year by 2011.

"If Yahoo doesn't continue to innovate in e-mail, somebody else will,
and they'll lose that audience," Jordan Rohan, an RBC Capital Markets
analyst in New York, said.

Other recent innovations from rival companies include Google Gears, a
piece of free software that allows users to operate web-based tools,
such as e-mail, even when they do not have an internet connection.

Yahoo Mail also offers "unlimited" storage for e-mails and attachments,
beating the 2.9GB offered by Google's free Gmail and Microsoft's
Hotmail, which is boosting its free storage capacity to 5GB.

The Yahoo service also includes an instant messaging tool (for those
times when an e-mail is deemed too slow), which can also be used to talk
to users of Microsoft's services.

The combination of the Yahoo and Microsoft instant messaging systems
creates a communications platform with some 350 million user accounts.
There are plans to extend the alliance to internet telephony using VoIP
(voice over internet protocol) technology. Such a joint platform would
eclipse the 100 million user base of Skype, the leading internet
telephony company, and the 19 million user accounts boasted by BT.

Despite the growing attrction of social networking sites, e-mail remains
the "base-line communications system of choice", Mike McGuire of
Gartner, the technology analysts, said.

More than 20 million Britons visited a non-work e-mail website last
month, according to Nielsen//NetRatings , the market researcher. The
vast majority of those accounts are provided for free, their suppliers
willing to subsidise them - at a cost of hundreds of millions - because
of the route they provide to potential revenues from advertising and
sales of goods.

Moreover, while users of social networking sites such as Facebook and
Bebo skip from one site to the next and are regarded as "chronically
unfaithful" by internet executives, e-mail users are regarded as
relatively loyal.

"E-mail websites are pretty sticky," Mary Beth Kemp, a senior analyst
for Forrester, the technology consultants, said. "They are a good way of
reaching consumers and, lets face it, of selling advertising. Nine out
of ten web users use e-mail."

The loyalty of e-mail users has been cited as one of the reasons why
Google still only comes forth in the ranking of the UK's e-mail
providers, with 1.7 million users - compared with Hotmail's 11.8
million, which leads the field. Google's service entered the market
several years behind Microsoft and has found it tough to lure users away
from rivals.

There are more than 27 million active e-mail addresses in the UK â€" not
counting work accounts, according to Nielsen. As many as 60 billion
e-mails are sent every day across the globe, according to IDC, the
researchers. By contrast, the Royal Mail delivers a third as many items
- per year.

However, e-mail's blessings may be mixed. According to Ironport, the
spam filtering company, more than nine out of ten e-mails in most
people's inboxes are unsolicited.

*Getting the message across*

*Yahoo! Mail *
*Number of users* 254 million
*Capacity* unlimited
*Integrated instant messaging* Yes
*Import contacts* Yes, from a range of e-mail programmes including
Hotmail, GMail, AOL and Outlook, plus a few other smaller applications
*Pros* preview pane (similar to Outlook), integration with other Yahoo!
services, drag-and-drop sorting of mail, keyboard shortcuts
*Cons* still contains a few bugs, especially Apple's Safari browser;
slower to load than original Yahoo! Mail. Prominent adverts in
message-viewing pane

*Windows Live Hotmail *
*Users* 260 million (Source: comScore)
*Integrated IM* No
*Capacity* 5Gb
*Import contacts* Yes, from a range of e-mail programmes including
Hotmail, GMail, AOL and Outlook, plus a few other smaller applications
*Pros* Can be synched with Outlook. New version includes many
improvements rolled out in new Yahoo! service. Works with Safari and
advertising is less intrusive than in Yahoo! Mail

*GMail Users* 79 million (Source: comScore)
*Import contacts* Yes, although you will have to format them into a
readable file type before importing from some programmes
*Integrated IM* Yes
*Capacity* 2.9Gb
*Pros* Effective search tool for finding messages. Long exchanges
consolidated into a single message file, helping to keep inboxes under
control
*Cons* Interface less attractive; capacity is now limited compared with
rivals. Some consider it intrusive that messages are scanned for
keywords to allow the delivery of targeted ads

*AOL Mail Users* 48 million (Source: comScore)
*Capacity* unlimited
*Integrated IM* Yes
*Pros* Allows sent messages to be "unsent" (removed from receiver's
inbox), provided receiver is also on the network. The service also
integrates well with AOL IM system
*Cons* Compared with the updated versions of its big two rivals, AOL
feels considerably less slick. There's no gaping flaw, but there's
little to set it apart either

*Facebook Users* 60 million (Source: comScore)
*Integrated IM* Yes
*Capacity* n/a
*Pros* More spontaneous and social than a straightforward e-mail
program. Enables sharing of photos and videos and offers a blend of
public and private messaging
*Cons* Can only be used to contact other Facebook users. The core
application doesn't allow files to be attached to messages

http://www.timesonl ine.co.uk/ tol/news/ world/article236 4805.ece
<http://www.timesonline.co.uk/tol/news/world/article2364805.ece>

Friday, September 28, 2007

Norms of knowledge based society

Norms of knowledge based society

The 'knowledge based society' is a much hyped theory in the west which
yet to be addressed in our country in proper manner. Some of our
intellectually advanced people are a little bit of conscious on the
theory, but in practical field of the theory they are mostly inactive.
In fact, it seems they have no government and private sector supports to
take the latest theory practically at the grass root level.

We should address the precondition and environmental factors and
knowledge dissemination issues properly. Still it is in the state of
concept, but why are we not investing much money and brain in building
the knowledge based society. Some of so-called pundits of our country
are not interested in generating and managing knowledge on long time
basis. They like to see quick outcomes of projects to ensure own profits
and benefits.

They hide intentionally the main theory of practical works that comes
from the west. Some of western thinkers first apply their theories in
developing countries like ours. There is some benefit for a few people
here to conduct guinea pig test over our society and citizens. We need
knowledge-based economy in the context of Bangladesh on the basis of our
aboriginal knowledge and the economy will solve our problems for
furthering advances.

Science and technology are the course of encompassing economic growth.
Stocks of knowledge are now capable of being stored in computer hard
disc or in huge placed server. This knowledge is being disseminated
across the world through the Net. Information technology is the force
placing urgency in the society for establishing knowledge-based society.
A society can see its enormous growth with the proper dissemination of
knowledge; it does not a matter what wealth and natural resources the
society is keeping in its possession. In the nearest future people and
society will be measured by knowledge instead wealth and money.

The new economics is one of the buzzwords in the world after the advent
of info-tech. We need many researches on how we can get a
knowledge-based society. The new economic phenomena leaves vital
questions as to how to generate the knowledge for the public welfare and
what will be the easiest way for accessing the essential knowledge.

E-governance is in the business papers of some people who appointed
lobbyists for getting e-governance businesses from our government. They
are just happy in making websites, to get tender to provide computers
and network solutions. Intention of building a knowledge-based society
is absence from their minds. Only they are eager for business and
e-governance projects. Over 70 per cent IT projects of our government is
failed either for inefficiency or corruption.

We are frustrated to see no constructive plan for knowledge based
society is coming from our intellectuals. None of our social thinkers
and hi-tech analysts has yet come up with a roadmap for establishing a
knowledge-based society. The well-known idea is- if we do not have
prerequisite infrastructure of ICTs and comprehensive power of
information, the knowledge-based society would not be built here.

E-governance is not just including modern management mechanism; it also
creates transparency among the government's administration rules that is
why donor bodies are insisting to replicate the process of e-governance
from the Western world. International business companies are not
interested for business if our business firms do not maintain e-commerce
websites. So soon we may see a kind conventional e-governance here that
will eventually go against the main idea of e-governance and
knowledge-based society. A kind of blame will be placed on these due to
project failure and corruption. Our government officials will claim we
have modern managing systems like e-governance, but our citizens will
see no benefits from the adopting e-governance.

Now there are many dissimilarities among the government websites,
interoperability is neglected; in fact, this jargon is completely new to
our government officials. Government websites are poorly developed and
maintained.

Prerequisite of knowledge-based society is gathering information and
generating knowledge on the basis of the information. We still do not
have sufficient knowledge for the anticipated society. The knowledge in
the Bangla language is not sufficient for building knowledge based
society. There is almost nothing about Bangla e-governance for the
native speakers, except a few websites and some computing software,
which have been criticising because of not being up to the standard. We
cannot convert our own knowledge so quickly into English and commoners
do not have required English knowledge to take help from the western
knowledge based economy. Even better ICT infrastructure cannot do
anything for building a knowledge-based society when we do not have
sufficient and relevant knowledge. Information is worthless without
dissemination system and such information cannot generate knowledge for
the commoners. Dissemination of knowledge in proper way and to right
people is essential for building a true knowledge based society.

Shahidul K K Shuvra

The Independent
27 September

The writer is Editor of IT and science pages
8911919 (res)
Cell- 01715245459
http://www.theindep endent-bd. com

Thursday, August 16, 2007

৯/১১-র একদিন আগে

এসেই জল ছুঁয়েছি তোমার শীতলতা পাবো বলে

বাতাসে ডুবে ছিলাম ম্যালা সময়, তোমার ছোঁয়া পাবার আশায়।

এলোমেলো পায়চারি

দিনভর জটিল সব বেঁকাতেরা সমীকরণ

চা পরটা ঝিনুকের মালা

কাগজ-কলমের বিরতিহীন গড়াগড়ি, এই আর কি।

দেয়ালের ওপর কংকর ঘষে ঘষে মানবতার সন্ধান

ফের লুকিয়ে যাওয়া

আমি সৌখিন-একটু আলতা, ক্লিন সেভ

কাট কাট বাবু বিবি

রাশভারী গলা- সময়কে কিন্তু লাগাম টানতে হবে হে।

মাথামুন্ড কিচ্ছু নাই

আমার কি দোষ

আমি শুধু বলেছি- সবার মধ্যে একটা কাপুরুষ থাকে

এবং কাপুরুষমার্কা মানবদেরও ডাক নাম মানুষ।

কান্ডজ্ঞানহীন না হলে এমন করে কেউ বলে

নাকি,সত্য না হলে এমন করে কেউ ক্ষেপে।

আর হাঁ, সাগর দেখতে একবারও যাইনি

কারণ তুমি কখনোই সাগরের মত বিশাল ছিলে না।

অথচ, সাগর দেখতে তুমি এখনো ভালোবাস।

হালকাহন

একদিন সন্ধ্যে বেলা আকাশের নীলাভ দেখে
আমার পাখি হতে ইচ্ছে করেছিল।
যদি পাখি হতাম তাহলে নীল আকাশে দিনমান ঘুরে বেড়াতে পারতাম।

একদিন সাতসকালে ঠান্ডা ঝিরঝিরে বাতাস গায়ে মেখে
আমার শিশির হতে ইচ্ছে করেছিল।
যদি শিশির হতাম তাহলে ভোরের শীতল শিশির সূর্যøান করতে পারতাম
আমৃত্যূ।

আজকে আবার ভিন্ন ইচ্ছে হচ্ছে
যদি মাছি কিংবা কোনো পতঙ্গ হতাম তাহলে তোমার গালের
ভয়ংকর সুন্দর টোল’টা ছুঁয়ে দেখতে পারতাম
কিংবা
যদি পানি হতাম তাহলে তোমার আটপৌঢ়ে আসা যাওয়ায় গাল
ধুয়ে নিতে, তাতে যদি একবারও তোমার টোলের সৌন্দর্য্য
আমি পাই তাও-বা কম কিসে।

তবে বৃষ্টি হতে পারলেই ভালো হতো বেলা-অবেলায়
তোমাকে ভিজিয়ে দিতাম টোল ছুঁয়ে দেখবার অজুহাতে।

কিন্তু আমার দরিদ্রভাগ্য
আমি এর কিছু হতে পারলাম না।
তাই বলে কী তোমার আশ্চার্য্য সুন্দর টোল আমার ছুঁয়ে দেখা

হবে না। দুর ছাই, ছুঁয়ে দেখা নাই-বা হলো
তুমি হাসতে থাক আমি তোমার গালের টোল দেখি।
আর কী করব?অন্তত: ঢোক গিলতে থাকি \

প্রাথমিক স্তরে পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন : সংস্কারের নামে শিশুদের মগজ ধোলাই


সার্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রমের সফল বাস্তবায়ন ও এর গুণগত মানোন্নয়নের লক্ষ্যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার যে দীর্ঘ মেয়াদী কর্মসূচি গ্রহণ করেছে তার মধ্যে প্রাথমিক স্তরের শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যসূচি সংস্কার ও নবায়ন অন্যতম। কথাগুলো প্রথম শ্রেণীর বাংলা বইয়ের ভূমিকায় লেখা রয়েছে। এছাড়াও প্রাথমিক স্তরের প্রতিটি শ্রেণীর পাঠ্য বইয়ের মুখবন্ধে লেখা রয়েছে। শিক্ষার্থীদের বয়স, মেধা ও গ্রহণযোগ্যতা বিবেচনা করে প্রতিটি বইয়ের বিষয়ব¯দ যেন আকর্ষণীয়, জীবন ভিত্তিক ও সমকালীন চাহিদা উপযোগী হয় সেদিকেও লক্ষ্য রাখা হয়েছে। কিšদ বিভিন্ন শ্রেণীর পাঠ্যপুস্তক পাঠ করে এবং ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক অভিভাবক ও পেশাজীবীদের সাথে আলাপে দেখা যায় পাঠ্যপুস্তকের প্রারম্ভে ভূমিকা অংশের বক্তব্যের সাথে পাঠ্যসূচির অনেক অমিল রয়েছে। তাছাড়া নতুনভাবে প্রণীত পাঠ্যক্রম ছাত্রছাত্রীদের বয়স, মেধা, যোগ্যতা, আর্থ সামাজিক অবস্থার সাথে অনেক অবাস্তবতার চিত্র ফুটে উঠে বলেও অনেকে অভিযোগ করেন।শিক্ষার বিষয়ব¯দকে শিক্ষার্থীর বয়স মনস্তাত্বিক বিচার, ছাত্র-শিক্ষকের সম্পর্কের ধরণ ও অবস্থা বিবেচনা করে বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল-কলেজ, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষাবিদ, ছাত্রছাত্রী প্রতিনিধি সমন্বয়ে আলোচনা সাপেক্ষে পাঠ্যক্রম ও পাঠ্যসূচি প্রণয়ন করলে এ সকল সমস্যার সমাধান করা অনেকাংশে সম্ভব।
পাঠ্যক্রম কী: বানদত্ত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাবু ননী গোপাল মজুমদার বলেন, পাঠ্যক্রম একটি পদ্ধতি জাতি গঠনের জন্যে একজন নাগরিককে কোন পর্যায়ে কতখানি জ্ঞান বা ধারণা প্রদান করবে তার যে পদ্ধতি তাই মোটা দাগে পাঠ্যক্রম নামে অভিহিত। ফলাহারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র নুসরাত জাহান রক্সী পাঠ্যক্রম বলতে বুঝে প্রত্যেক বইয়ের সূচিকে। গঙ্গাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য মাঈন উদ্দিন বলেন, দক্ষ ও মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন একটি জাতি গড়ে তোলাই শিক্ষার লক্ষ্য। আর সে লক্ষ্যে পৌছানোর মূল সিঁড়ির নামই পাঠ্যক্রম বা পাঠ্যসূচি।
যে কারণে পাঠ্যক্রম: একটি দেশের একটি জাতির অতীত, বর্তমান, ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি সম্পর্কে অবগত করেই একটি জনগোষ্ঠী গড়ে তুলতে হয়। আর এ উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের প্রধান যোগানদাতা শিক্ষা। তাই শিক্ষা ব্যবস্থার প্রাণকেন্দ্র হচ্ছে পাঠ্যক্রম। একটি জাতি সম্পর্কে, বিষয় সম্পর্কে একজন ছাত্র কোন শ্রেণীতে কতখানি জানবে শিক্ষার্থীর বয়স, মনস্তাত্বিক বিচার, বিশ্লেষণ, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর অবস্থান ইত্যাদি মাথায় রেখে একটি সফল পাঠ্যক্রম। তাই শিক্ষার মূল লক্ষ্যে পৌছতে পাঠ্যক্রম বাঞ্চনীয়। আর একটি সফল পাঠ্যক্রমের উপরই শিক্ষার সফলতা ব্যর্থতা নির্ভর করে বলে মন্তব্য করেন গঙ্গাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য মাঈন উদ্দিন।
পাঠ্যক্রমের বর্তমান হালচাল: বানদত্ত উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের সাবেক সভাপতি এটিএম সামছুল হক বলেন, আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় একটা অরাজকতা বিরাজমান। প্রাথমিক স্তরের পাঠ্যক্রম, পাঠ্যসূচি ও পাঠ্যপুস্তকের ক্ষেত্রে চলছে বহুমাত্রিক ধারা। সরকার চালিত বিদ্যালয় সমূহের পাঠ্যক্রম নির্ধারণ করে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যক্রম বোর্ড (এনসিটিবি), মাদ্রাসাসমূহের পাঠ্যক্রম নির্ধারণ করে মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড, আবার এনজিও এবং কিন্ডার গার্টেন বিদ্যালয় সমূহের পাঠ্যক্রম প্রণীত হয় তাদের নিজস্ব ধ্যান ধারণার উপর।
প্রথম পাঠ্যক্রমের ইতিকথা: পাঠ্যক্রম প্রণয়ন একটি দীর্ঘ পরিকল্পনা। প্রাথমিক স্তর থেকে বেরিয়ে একটি ছাত্রছাত্রী যত শিক্ষিতই হোক না কেন তাদের যে চেতনা, তাদের যে মূল্যবোধ তা মূলতঃ প্রাথমিক স্তর থেকে ভিত লাভ করে। আমাদের দেশে প্রথম পাঠ্যক্রম প্রণয়ন করে ব্রিটিশরা। বেশ কয়েকবার পাঠ্যক্রম বদল হলেও বর্তমানে আমাদের পাঠ্যক্রমের আদল কিছুটা ব্রিটিশ প্রণীত পাঠ্যক্রমের মধ্যেই রয়ে গেছে। ব্রিটিশ পাঠ্যক্রম প্রণয়নের সময় একটি বিশেষ পরিকল্পনা মাথায় রেখে পাঠ্যক্রম প্রণয়ন করে।মিঃ ম্যাকলে নামক এক বৃটিশ নাগরিক সর্বপ্রথম পাঠ্যক্রম প্রণয়ন করে। বৃটিশরা চেয়েছিল আমাদের দেশের ছেলেমেয়েরা লেখাপড়া শিখে অফিস আদালতের কেরানী হবে এবং সে পরিকল্পনা মাথায় রেখেই মিঃ ম্যাকলে পরিকল্পনা প্রণয়ন করেন। এ পাঠ্যক্রম প্রণয়নে তারা এমনভাবে খেয়াল রেখেছিল যাতে কেউ বড় কর্মকর্তা হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে না পারে এ পাঠ্যক্রম রপ্ত করে। এভাবে বৃটিশরা আমাদের দেশের নাগরিকদের শিক্ষিত করে তোলে। ঘটনার কালক্রমে বৃটিশরা আমাদের দেশ থেকে চলে যায়, তারপর পাকিস্তান শাসনামল, বর্তমানে আমরা একটি স্বাধীন দেশের মানুষ। অথচ আমাদের পাঠ্যক্রম এখনো বৃটিশ প্রণীত পাঠ্যক্রমের মাঝেই আটকে রয়েছে।
যেমন পরিবর্তিত পাঠ্যক্রম: ‘বিগত এক দশকে সার্বিক পাঠ্যক্রম বদল হয়েছে একবার’ এ কথা জানালেন ফলাহারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা লায়লা আঞ্জুমান আরা বেগম। তবে বানদত্ত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ননী গোপাল মজুমদার বলেন, প্রত্যেক বছরই একটা দুইটা করে অধ্যায় যোগ বিয়োগ হচ্ছে। এ বছর হয়ত কোন অধ্যায় সংযোজন হচ্ছে আবার দেখা গেছে অন্য বছর সে অধ্যায় বিয়োজিত হয়েছে। তবে বেশি ক্ষেত্রে সমাজ বইয়ের বিভিন্ন অধ্যায়ের রদ বদল করা হয় বলে তিনি উল্লেখ করেন।
যে কারণে পাঠ্যক্রমের বদল: ‘আগে প্রথম শ্রেণীতে পড়ানোর জন্যে পাঠ্যক্রম প্রণয়নে শব্দানুক্রমিকভাবে করা হতো। আর বর্তমানে তা করা হচ্ছে বাক্যানুক্রমিকভাবে।’ পাঠ্যক্রম পরিবর্তনের এটিও একটি কারণ বলে জানালেন বানদত্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তাছাড়া সরকারের দৃষ্টিভঙ্গিও বিশেষতঃ সমাজ বইয়ের দুএকটা অধ্যায় পরিবর্তনের কারণবলে তিনি জানান। তিনি আরো জানান, যে সরকার ক্ষমতায় তারা তাদের মত ইতিহাসের বিভিন্ন কথা যোগ করে। এর ফলে সে সরকার ক্ষমতায় না থাকলে অন্য সরকার তা আবার বদল করে। তবে মোদ্দাকথা হলো প্রাথমিক স্তর এখনো বৃটিশ প্রণীত পাঠ্যক্রমের ছকেই রয়ে গেছে। যা একটা যোগ বিয়োগ তা কেবল দেশের বিভিন্ন সরকারি দলের পূর্বসূরীর গুণগান বলে মন্তব্য করে কলেজ ছাত্র সোহেল।
পাঠ্যক্রম বদলের নীতিমালা: প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাবু ননী গোপাল জানান, পাঠ্যক্রম বদলের আলাদা কোন নীতিমালা নেই। এনটিসিবি’র পাঠ্যক্রম প্রণয়নে একটা কমিটি আছে, তারা বসেই রদবদল করে। এ কমিটিতে কারা থাকে জানতে চাইলে তিনি জানান, হয়ত বড় কোন আমলা বা কোন সচিব থাকে সে কমিটির প্রধান। তবে এ সকল লোকজনের অভিজ্ঞতা কিংবা যোগ্যতার চেয়ে সরকারের পছন্দসই লোককেই বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়। ফলে কমিটির কাজ হয় সরকারের জনগণের সাথে লেজুড়যুক্ত পাঠ্যক্রম প্রণয়ন করা। গঙ্গাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামরুন্নাহার বলেন, পাঠ্যক্রম প্রণয়নে ছাত্রছাত্রীদের চাহিদা নিরুপন করতে হয়। ছাত্রছাত্রী কি চায়, কি দরকার জানতে হবে। সেজন্যে পাঠ্যক্রম প্রণয়নে প্রান্তের ছাত্র শিক্ষক থেকে কেন্দ্রের অভিজ্ঞ লোকজনের অংশগ্রহণ দরকার। আমাদের এখানে তা করা হয়না। ফলে আমাদের পাঠ্যক্রম যুথসই হয়ে উঠেনা।
বই মিছা কতা লেহে: মিলন। হাই স্কুলে পড়ে। এখন সে কম বেশি রাজনীতি বুঝে। প্রাথমিক স্তরের বই নিয়ে মিলন বলে, ‘চুতর্থ শ্রেণীর বইতে লিখেছে শেখ মুজিবুর রহমান ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণা দিয়েছে। কিšদ আমি এখন আমার ভাইয়ের কাছে শুনেছি জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষক। এবং এটাই সত্যি। তাই তার ধারণা বইতে মিছা কথা লেহে।এ প্রসঙ্গে বানদত্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন, আসলে বিষয়টি ভাবনার। কারণ সরকার বই বদলের সময় তাদের মত কথাবার্তা লেখে । ছাত্রছাত্রী নিচের ক্লাশ থেকে ্সবে পড়ে গেলেও উপরের ক্লাশে গিয়ে তারা অনেক বিষয় রাজনৈতিক বক্তৃতার সাথে গুলিয়ে ফেলে।তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা করেছে কি করেনি, তা সত্য কি মিথ্যে তা আমার প্রশ্ন নয়। প্রশ্ন হলো বিষয়টি রাজনৈতিকভাবে বিতর্কিত। তাই বিতর্কিত কোন কিছু ছোট ছেলেমেয়েদের শেখালে যদি তা বড়ো হয়ে জানতে পারে তাহলে শিক্ষক ও শিক্ষার প্রতি শ্রদ্ধা নষ্ট হয়।
আগডুম বাগডুম:পৃথিবীর অন্যান্য দেশ তাদের শিক্ষার্থীদের আধুনিক শিক্ষিত করলেও আমাদের দেশের শিশুরা অর্থহীন ছড়া পড়েই চলেছে। কলেজ পড়–য়া সোহেল বলেন, প্রত্যেক কবিতা গল্পেই একটা অর্থ থাকে এবং সে অর্থ উপস্থাপন করাই কবিতা বা গল্পের উদ্দেশ্য। বর্তমানে অনেক কবিতা ছড়ারই কোন অর্থ নেই। এ প্রসঙ্গে শিক্ষক ননী গোপাল বলেন, এসব ছড়া দিয়ে শিশুদের বা বাচ্ছাদের মুখের জড়তা কাটে এবং সহজভাবে শিশুদের শেখানোর জন্যেই এসব ছড়া পড়ানো হয়। আগডুম বাগডুম, হাট টিমা টিম টিম কিংবা রং মেখে সং সেজেসহ বেশ কিছু ছড়া আছে প্রাথমিক স্তরের বিভিন্ন বইতে। সে সকল ছড়ার মধ্যে শেখার কিছুই নেই। কলেজ পড়–য়া সোহেল বলেন, আসলে স্কুলে ছেলেরা কিছু পড়তে হবে তাই এসব ছড়া। এ সকল পড়ায় কোন অর্থ থাক বা না থাক তাতে কি, পড়া হলেই তো হলো এ ধারণা নিয়ে বোধহয় পাঠ্যক্রম প্রণেতারা পাঠ্যক্রম প্রণয়ন করে।
এ বছরে ক্ষতি ৫০ কোটি টাকা: থানা শিক্ষা অফিসের একজন কর্মকর্তা বলেন, বর্তমান বছরে প্রাথমিক স্তরে প্রায় ৮টি বই পরিবর্তন হচ্ছে। এ বছর প্রায় নতুনভাবে ৮ কোটি বই ছাপানোর কাজ শুরু করেছে। এর মধ্যে পাঠ্যক্রম বদলের কারণে ২ থেকে আড়াই কোটি বই নতুনভাবে ছাপাতে হচ্ছে। এতে করে সরকার প্রতি বছর প্রচুর টাকা গচ্ছা দিতে হচ্ছে। নতুনভাবে ছাপানো পরিবর্তিত বইয়ের দাম হিসেব করলে প্রায় (যদি একটা বইয়ের দাম ১৫ টাকা করে ধরা হয়) ৫০ কোটি টাকার মত দাঁড়ায়। এতো গেল সরকারি গচ্ছার হিসেব, বেসরকারিভাবে যে সকল বিদ্যালয়, কেজি স্কুল, এনসিটিবি’র সাথে চুক্তি করে তারা ডিলারদের থেকে বই কিনে নিতে হয়।কান্দিরপাড় গ্রামের এনায়েত উল্যাহ বলেন, বেসরকারিভাবে যারা পড়াশুনা করছে বই বদলের ফলে তাদের সবেচেয় বেশি আর্থিক ক্ষতির মোকাবেলা করতে হয়। তিনি বলেন, এক সময় দেখা যেতো আমরা একসেট বই দিয়ে দুই/তিন বছর পর্যায়ক্রমে পড়তে পারতাম। কিšদ বর্তমানে প্রতিবছর বই বদলের ফলে নতুনভাবে প্রতিবছর বই কিনতে হয়। এতে করে অভিভাবকদের যেমন আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয় তেমনি শিক্ষকরাও সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।নরোত্তমপুর ইউনিয়নের মনির আহম্মদ বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বর্তমানে ইপিআই, শুমারীসহ নানা কাজে জড়িত থাকায় তারা প্রায়শই ঠিকমত কাজে মনোযোগ দিতে পারেনা। এতে করে অভিভাবকরা ছেলেদের জন্যে নোটবই কিনে দেয়। যদিও তা বেআইনী। কিšদ আমাদের সমস্যা হলো, ২/৩শ টাকা দিয়ে নোট বই কেনার পর দেখা যায়, ছেলেমেয়েদের ১ বছর পড়ার পর তা আর কেউ কিনে নেয় না বা পরবর্তীতে কেউ পড়ে না। কারণ সরকারি বই বদল হওয়ার পর তা আর নোট বইয়ের সাথে মিলেনা। এতে করে প্রতি বছর গ্রামের দরিদ্র কৃষকদের অনেক টাকা নষ্ট করতে হয়।
যা লেখে তাই পড়াই: বানদত্ত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা লুলু বিলকিছ বানু বলেন, বিগত ১০ বছরে অন্তত বই বদল হয়েছে তিনবার। তিনি বলেন,আগেরকার সময় দেখা যেতো যে শিক্ষক যে বিষয়ে পড়াতেন তিনি সে বিষয়ের বিভিন্ন অধ্যায়ের সাথে খুব পরিচিত হয়ে উঠতেন এবং ছাত্রছাত্রীদের পাঠদানে স্বকীয় একটা স্টাইল গড়ে তুলতেন। কিšদ বর্তমানে তা হয়ে উঠে না। তিনি আরো বলেন, আমরা সরকারি চাকুরী করি যা, লেখা তাই পড়াই কিšদ আমাদের তো দায়বদ্ধতা আছে। গত দশ বছরে বাংলা এবং সমাজ বইয়ের কয়েকটি অধ্যায় নানাভাবে পড়াতে হয়েছে। যা সত্যি দুঃখজনক।

ক্ষুদ্র পেশাজীবিরা পণ্যের ন্যায্য মূল্য না পেয়ে পিছিয়ে পড়ছে

ক্ষুদ্র পেশাজীবিরা হারিয়ে যাচ্ছে সমাজ থেকে। তাদের উৎপাদিত পণ্যের চাহিদা আর আগের মত নেই। এর অনেক কারণ রয়েছে। উপকরণের অভাবসহ আর্থিক সংকট ও উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত না হওয়ায় ক্ষুদ্র পেশাজীবিরা প্রতিযোগিতায় টিকতে পারছে না। এখনো চড়াই উৎরাই পেরিয়ে টিকে আছে এমন কয়েকটি ক্ষুদ্র পেশাজীবি হলো শিশাগর, ওঝা, কামার ও কুমার। তাদের জীবনালেখ্য থেকেই অনুমান করা যাবে কেমন চলছে তাদের রোজকার জীবনযাত্রা।
শিশাগর: পুরনো ও ভাঙা কাঁচের শিশি বোতল এবং হারিকেনের চিমনি কিনে বিশেষ কায়দায় নতুন করে ওষুধের বোতল, নল ও নলের আগা এবং হোমিওপ্যাথিক ওষুধ রাখার শিশি তৈরির কাজ করতো এ শ্রেণীর ক্ষুদ্র পেশাজীবিরা। এ শ্রেণীর পেশাজীবিদের বলা হয় শিশাগর।সারাদিন গ্রামের বিভিন্ন জায়গা থেকে এবং বাড়ি বাড়ি ঘুরে তারা ভাঙা কাঁচ সংগ্রহ করত। তারপর সেই সকল কাঁচকে গলিয়ে তারা ফুঁ দিয়ে কাঁচের জিনিসের আকার দেন। সোনাইমুড়ী থানার কৌশল্যার বাগ গ্রামের আবুল কাশেম শিশাগরের কাজ করেন। কার্যপ্রণালী সম্পর্কে তিনি জানান, তারা লোহার একটি নলের মাথার গলানো কাঁচ নিয়ে তাতে বারবার ফুঁ দিয়ে ও বারবার ঘুরিয়ে ইচ্ছামত বিভিন্ন ধরণের জিনিস বানাত। কাজের সময় ডান হাতে একটি লোহার চিমটি ধরে আর বা হাতে লোহার নল ধরে এরা জিনিসের নানান আকৃতি দেন। দেশের অর্থনীতিতে শিশাগরদের একটি বিরাট ভূমিকা আছে। কাঁচের ব্যবহৃত বিভিন্ন জিনিস পত্রাদি দিয়ে আবার জিনিস তৈরি করে। তাদের এ উৎপাদন প্রক্রিয়ায় কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত করা হয় ভাঙা কাঁচ। ফলে নগদ টাকা দিয়ে কোন কাঁচামাল কিনতে হয় না। কাঁচামাল তৈরিতেও আবার অর্থ বিনিয়োগ করতে হয় না। যার ফলে অকার্যকর কোন জিনিস যেমন কাজে লাগে তেমনি শ্রমকে পুঁজি করে তারা আবার নতুন পণ্য তৈরি করে। শিশাগরদের তৈরি জিনিসপত্রও অবশ্যই ভঙ্গুর এবং বাতাসের বুদবুদ ভরা থাকে। বিভিন্ন পূজা-পার্বনে এক সময় শিশাগরদের ব্যস্ত থাকতে হবে বলে জানান কৌশল্যার বাগের আবুল কাশেম। তিনি বলেন, আমাদের বানানো শিশি কিংবা বাতির নির্মাণ সব সময় ধনী লোকদের ঘরেই শো-পিচ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। কিšদ আধুনিক সময়ে নানারকম অটোমেটিক মেশিনে তৈরি জিনিসের সাথে তাল না মিলাতে পেরে অনেকেই বর্তমানে এ পেশা ছেড়ে দিয়ে অন্য কাজ করছে। তাছাড়া কারো কারো এ পেশায় থাকার চিন্তা ভাবনা থাকলেও সরকারিভাবে এ সকল জিনিস পত্রাদি বানানোর আধুনিক কোন নিয়ম কানুন প্রশিক্ষণ ও পৃষ্ঠপোষকতা না থাকায় এ পেশার বিলুপ্তি ঘটছে।
ওঝা: ‘ওঝা’ মানে পেট। এক সময় ওঝা পেশায় নিযুক্তরা প্রথমেই মানুষের পেট পরীক্ষা করত বলে কালেভদ্রে তাদের পেশাই হয়ে যায় ওঝা। এ পেশা বর্তমানে বিলুপ্ত প্রায়। গ্রামাঞ্চলে দেখা যায়, ওঝাদের চিকিৎসা পদ্ধতি একেজনের একেক রকম। হয়ত একজন ওঝা কোন গাছের শেকড় দিয়ে সাপকে বশীভূত করতে পারেন। অথবা সাপেকাটা রোগীর চিকিৎসা করাতে পারেন। আবার অন্য আরেক জনের কাছে হয়ত মাথাব্যাথা সারাবার কোন টোটকা ওষুধ থাকে। আবার কোন কোন ওঝা আছে যারা তাবিজ বা ধন্বন্তরি কবচ দেয় যাতে দুনিয়ার তাবত বালামুসিবত দূর হয়। বিজ্ঞানের উৎকর্ষতা এবং আধুনিকতার ফলে এ পেশাটি একদম বিলুপ্তির পথে। ওঝা পেশায় কাজ করে ছাদুল্লাপুর গ্রামের নুরুল হক বলেন, এক সময় ওঝাদের অনেক চাহিদা থাকলেও বর্তমানে তা নেই। এখন সাধারণতঃ কারো ঘর বাড়িতে সাপ দেখা গেলে তা ধরার জন্যে অনেকে আমাদের ডাকেন। তাতে ৫০/১০০ টাকা আয় হয়। এছাড়া তেমন আর কোন কাজ নেই। কেহ কেহ কয়েকটি সাপ নিয়ে বাজারে বাজারে খেলা দেখিয়ে পরে নানারকম তাবিজ কবজ কিংবা ওষুধ বিক্রি করলেও আমি তা করিনা।মাসে এ কাজে সর্বোচ্চ ৩০০/৪০০ টাকা আয়। এ আয়ে কোনভাবে সংসার চালানো সম্ভব হয়না। তাই নুরুল হক এ পেশা থেকে প্রায় সরেই গেছে। তিনি এখন এ পেশার বদলে কৃষিকাজে জড়িত। বৈজ্ঞানিকযুক্তির সাথে এ পেশার তেমন মিল না থাকলেও এ পেশাটি আমাদের সংস্কৃতিরই একটা অংশ। কিšদ বর্তমান সময়ের চাহিদার সাথে পাল্লা দিয়ে এ পেশাটি প্রায় বিলুপ্তির পথে।
কামার: যারা লোহা দিয়ে নানা উপকরণ তৈরি করে তাদের কামার কিংবা কর্মকার বলা হয়। কোদাল, নিড়ানি, দা, বটি, কুড়াল, শাবল, ছুরি, লাঙ্গলের ফলা, কাঁচি ইত্যাদি তৈরী করাই মূলতঃ কামারের কাজ । লোহা ও কয়লা হলো কামারদের কাজের মূল উপকরণ। কালামুন্সি বাজারের কামারের কাজ করে বাবুল। আলাপে তিনি জানান, লোহাকে কয়লার আগুনে পুড়িয়ে ছোট বড় হাতুড়ি, নেহাই, চিমটা, চামড়ার হাপর, পানি ইত্যাদি ব্যবহার করে বিভিন্ন জিনিসের আকার দেয়। বাবুল বলেন, আমরা কয়লার আগুনে লোহাকে গরম করে তা পিটিয়ে পিটিয়ে নানা দ্রব্য তৈরি করি। চামড়ার হাপারে দড়ি বাধা থাকা, সেই দড়ি একহাতে টেনে আগুনের উত্তাপে লোহাকে গরম করে। লোহা লাল হয়ে গেলে তা কাঠের গুড়ি অথবা লোহা দিয়ে তৈরি একটি শক্ত জিনিসের উপর রেখে পিটিয়ে পিটিয়ে লোহাখন্ডকে প্রয়োজন মাফিক দ্রব্যের আকারে ধারণ করাই। তারপর তা তৈরী হলে পানিতে ফেলে দেই ঠান্ডা হওয়ার জন্যে। এভাবে যে কোন জিনিস তৈরী হয়।
কুমার: মাটি দিয়ে নিত্য ব্যবহার্য সামগ্রী সমূহ যারা তৈরি করে তারাই কুমার। এ পেশাটি কেবল আমাদের দেশেরই পেশা নয়। প্রাচীন মেসোপটেমিয়ায়, মিশরে, সিন্ধু নদীর তীরবর্তী এলাকায়, চীন পারস্য, এশিয়া মাইনরের নানা স্থানে, প্রাচীন গ্রীসে, ইটালীতে মৃৎশিল্পের নিদর্শন প্রত্মতাত্ত্বিকরা উদ্ধার করেছেন। বাংলাদেশে মূলত হিন্দু স¤প্রদায়ের লোকজন একাজ করে থাকে। উপাধিতে তারা পাল। কুমার মাটি দিয়ে নানা উপকরণ তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করে।উৎপাদিত জিনিসের মধ্যে কুমাররা মূলত মাটি দিয়ে গৃহস্থলী কাজে নিত্য ব্যবহার্য দ্রব্য যেমন রান্নার হাড়ি পাতিল, ঢাকনা, পিঠার হাড়ি, কলস, ঘরা, গামলা, গ্লাস, হুক্কা, ধুপদানী ইত্যাদি তৈরি করে। এছাড়া রকমারী দ্রব্য ফুলের টব, পয়সা জমানোর মাটির ব্যাংক, নানা ধরনের ফলমূল, জীবজšদর প্রতিকৃতি, মাটির মটকা ইত্যাদি তৈরি করে। হিন্দুদের দেবদেবীর মূর্তিও তৈরি করে কোন কোন কুমার।মৃৎশিল্পের প্রধান উপকরণ মাটি। এ মাটির নাম এঁটেল মাটি। চাপরাশির হাট ইউনিয়নের ইন্দ্রপুর গ্রামের মনা চন্দ্র পাল বলেন, কুমিল্লা জেলার বিজয়পুরে ইটের মাটি, ঢাকা রায়ের বাজারে রাঙ্গামাটি, জামালপুর জেলার বজরার বালিমাটি, ফেনী জেলার ছাগলনাইয়ার লাছামাটি এ কাজে ব্যবহৃত হয়। কাজের সময় তারা এ মাটির সাথে সমপরিমাণে বেলেমাটি মিশিয়ে দোঁআশ মাটি তৈরি করে। তারপর তা দিয়ে মন্ড তৈরি করে চাকার সাহায্যে পাত্রের আকৃতি দেওয়া হয়। দ্রব্য তৈরির জন্যে প্রথমে লাঠি দিয়ে ঘুরিয়ে চাকার বানানো হয়। খুব দ্রুত গতিতে চাকাটি যখন ঘুরতে থাকে তখন গোল করে মাটির বুটিটি ঠিক মাঝখানে রেখে কুমাররা আঙ্গুলের সাহায্যে ইচ্ছামত পাত্র তৈরি করে। একত্রে কয়েকটি পাত্র তৈরি করার মতো মাটি তারা চাকা উপর তোলে। একটি পাত্র তৈরি শেষ হলে চিকন একটি সুতা দিয়ে মাটির নীচের অংশ চাকার থেকে কেটে দেওয়া হয়। এরপর প্রয়োজন মোতাবেক পাত্রের গায়ে নকশা করা হয়। নকশা শেষ হলে তা কমপক্ষে ৮/১০ ঘন্টা শুকাতে দেওয়া হয়। তারপর তা শক্ত হলে খয়ের, কাপড়কাঁচার সোডা ও লালমাটি বা গাছের ছাল দিয়ে প্র¯দতকৃত রং তাতে লাগানো হয়। শেষ পর্যায়ে বিশেষভাবে তৈরি একটি চুলোতে সরিবদ্ধভাবে মাটির পাত্রগুলোকে বসিয়ে সেগুলোকে আগুনে পুড়িয়ে শক্ত করা হয়। এভাবেই কুমাররা মাটি দিয়ে বিভিন্ন জিনিস পত্রাদি তৈরি করে।
আর্থ-সামাজিক অবস্থা: কামার, কুমারদের আর্থ-সামাজিক অবস্থা এক সময় খুবই ভাল ছিল। তাদের উৎপাদিত পণ্যের একদা খুব চাহিদা ছিল, তারা দ্রব্য সামগ্রীর দামও পেত প্রচুর। প্রত্যেক গ্রামে এ সকল পেশার দু’একটি পরিবারে পাওয়া যেতো। কিšদ বর্তমানে তাদের সংখ্যা কমে আসছে। ক্রমশঃ এ শ্রেণীর বিলুপ্তি ঘটছে। কেহ কেহ অন্য পেশায় চলে গেছে আবার ভারতেও চলে গেছে অনেক পরিবার। একদা কামারের ছেলে কামার, কুমারের ছেলে কুমার হবে এ ধারণা করা হলেও এখন তা হয় না। এখন তারা লেখাপড়া শিখে অন্যান্য পেশায় যাচ্ছে। আধুনিক যন্ত্রপাতি দেশে এসেছে। কাঁচি দা ইত্যাদি তারা লাভে বিক্রি করতে পারে না। কাসা, তামা, কাঁচ, ষ্টিল, এলুমিনিয়াম, প্লাষ্টিক, ম্যালামাইন, ত্রিষ্টাল ইত্যাদি দেশে আমদানীর ফলে মাটির জিনিসের কদরও কমে গেছে। মানুষ স্বল্পমূল্যে দীর্ঘস্থায়ী, চাকচিক্যের জন্যে সে সকল দ্রব্য কিনছে। ফলে কামার কুমারদের উৎপাদিত জিনিসপত্র এতটা বিক্রি হচ্ছে না। তবুও দুএকজন যারা এখনো এসব পেশায় নিয়োজিত আছে তারা খুব কষ্টেই দিনাতিপাত করছে। আর অনেকেই এ পেশা ত্যাগ করে অন্য পেশায় চলে যাচ্ছে। প্রতিটি গ্রামে দ্এুকজন করে এ সকল পেশাজীবি দেখা গেলেও এখন আর নেই। এখন ১০ গ্রাম খুঁজে একজন কামার কিংবা কুমার পাওয়া যায়। প্রায় সকলে পাড়ি জমাচ্ছে শহরে, পেশার বদলে জীবন যাপনের তাগিদে।
পেশা হিসেবে কামার: নোয়াখালী সদর থানাধীন সোন্দলপুুর গ্রামে এক সময় অনেক কামার থাকলেও এখন হাতে গোনা কয়েকজন মাত্র কামার আছেন। আবদুল্লাহ মিয়ার হাট বাজারে কামারের কাজ করে প্রিয়লাল কর্মকারের সাথে আলাপে জানা যায়। এ কাজের জন্যে তাদের কয়লা সংগ্রহ করতে ফেনী যেতে হয়। চড়া দামে পোড়ানো কয়লা কিনে আনতে হয়। লোহার জন্যেও চট্টগ্রাম অথবা অন্য কোন জায়গায় যেতে হয়। স্থানীয়ভাবে কাঁচামাল পাওয়া যায়না। তাই কাঁচামালের সাথে সঙ্গতি রেখে তারা যখন তাদের দ্রব্যাদি বিক্রি করতে চায় তখন অনেকে তা না কিনে ষ্টিলের জিনিস কিনে। তা যেমন সাশ্রয় তেমনি চাকচিক্যও বটে। কামাররা কাজ শিখে তাদের পূর্ব পুরুষদের কাছ থেকে। তাদের কোন প্রশিক্ষণ যেমন নেই তেমনি নেই কোন পৃষ্ঠপোষকতা। অভাব তাদের সাথে সাথে থাকে। তাই তাদের প্রায় ঋণগ্রস্থ হতে হয়। কিšদ তা শোধ করতে তাদের প্রাণান্তকর অবস্থা। অথচ সরকারি বা বেসরকারি কোন উদ্যোগ তাদের জন্যে নেই। জীবনের ঝুকিও রয়েছে প্রচুর। বাবুল কর্মকার ও প্রিয়লাল কর্মকার জানান, তাদের অনেকেই আর এ পেশায় থাকছে না। পেশা হিসেবে কুমারদেরও একই সমস্যা। নোয়াখালী সদর থানার পূর্বাঞ্চলে তেমন কোন কুমার নেই। দু’একজন যারা আছে তাদের পূর্ব পুরুষরা এ পেশায় ছিল। কিšদ তারা এখন নেই। না থাকার কারণ সম্পর্কে মনা পাল জানান, কুমারদের কাঁচামাল সংকট রয়েছে প্রচুর। এছাড়াও লোকজন বিকল্প দ্রব্যের ব্যবহার বাড়িয়েছে। তারা তাদের উৎপাদিত দ্রব্যাদির সঠিক দাম পাচ্ছে না। এ সকল কারণে তারা সর্বদা এক পেশায় না থেকে দ্বিতীয় আরো একটি পেশায় থাকছে। ফলে দুটি পেশায় লাভ চিন্তা করে অনেকে এ পেশাকে অলাভজনক ভেবে অন্য পেশায় চলে যাচ্ছে। এ পেশার রয়েছে ঝুকি। উৎপাদন খরচ আর বিপণন মূল্য দুটো তুলনামূলকভাবে সামঞ্জস্য হচ্ছে না বলে প্রায়ই তারা ঋণ নিচ্ছে। আর জড়াচ্ছে ঋণের দুষ্টজালে। তাদের জন্যে ভালভাবে সরকারি বেসরকারি কোন পৃষ্ঠপোষকতা নেই। তাই অনেকে এ পেশায় আর থাকতে চাইছে না। এছাড়াও বর্তমানে কিছু কিছু সংস্থা তাদের থেকে বিভিন্ন জিনিস কিনে নিয়ে বিদেশীদের কাছে বিক্রি করছে। তারা সে সকল দ্রব্যের দাম পাচ্ছে কম। অন্যদিকে সংস্থাগুলো দাম কুড়াচ্ছে। তাদের জন্যে উৎপাদিত দ্রব্যাদির আলাদা কোন বাজার নেই।
সুপারিশ: - ক্ষুদ্র পেশাজীবিদের উৎপাদিত দ্রব্য সামগ্রীর বাজার সৃষ্টি করা যেতে পারে।- সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে বিক্রয় কেন্দ্র স্থাপন করা যেতে পারে।- ক্ষুদ্র পেশাজীবিদের দ্রব্য সামগ্রী বিদেশে রপ্তানীর ব্যবস্থা করা যেতে পারে।- সরকারিভাবে সহজশর্তে ঋণ ও কাঁচামালের যোগান দেওয়ার ব্যবস্থা করা যেতে পারে।- পেশা হিসেবে ক্ষুদ্র পেশাজীবিদের যে কোন পেশাকে মূল্যায়ন করতে হবে।

Tuesday, July 31, 2007

স্থানীয় সাংবাদিকতায় সামাজিক ও রাজনৈতিক চাপ তৃণমূল স্তরে সুশাসন ব্যাহত

সংবাদপত্রকে গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় ‘চতুর্থ স্তম্ভ’ হিসেবে অভিহিত করা হয়। তৃণমূলে কতখানি গণতন্ত্র চর্চা হচ্ছে, গণতন্ত্র চর্চায় কি কি প্রতিবন্ধকতা রয়েছে জনগণ সরকার থেকে কি ধরণের সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সমস্যা ও তার সমাধান কি হতে পারে এ সকল কিছুই উঠে আসে স্থানীয় সংবাদপত্রে। মূলতঃ স্থানীয় সংবাদপত্র শাসক গোষ্ঠী ও জনগণের মাঝে মাধ্যম হিসেবে কাজ করে। কিšদ স্থানীয় সংবাদপত্র প্রকাশেও রয়েছে বিবিধ সমস্যা।বৈষম্যহীন সমাজ, সুষ্ঠু সমন্বিত উন্নয়ন, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় স্থানীয় সাংবাদিকতার প্রয়োজন অপরিহায্য। স্থানীয় পর্যায়ে সাংবাদিকতার বিকল্প ও সংবাদপত্র প্রকাশনায় গতিশীলতা বৃদ্ধি সুশাসন নিশ্চিত করার জন্যে অপরিহার্য।যে কোন ধরণের ধারণার চর্চা করতে হয় তৃণমূল থেকে। মফস্বলে অবস্থান করছে আমাদের তৃণমূল সমাজ। সুষম বন্টন ব্যবস্থায় কোন পদ্ধতি বা প্রক্রিয়া আমাদের দেশে গড়ে না উঠায় উৎপাদন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণকারী তৃণমূল সমাজ তাদের ন্যায্য প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এভাবে প্রভাবশালীদের হস্তক্ষেপ, সহকারি, বেসরকারি অসহযোগিতা, শিক্ষার অভাব, দারিদ্র্য ইত্যাদি কারণে প্রতিনিয়ত লঙ্ঘিত হচ্ছে মানবাধিকার। চর্চা হচ্ছে না গণতন্ত্রের। অথচ দেশ এখন গণতান্ত্রিক শে¬াগানে মুখরিত। জনগণ বঞ্চিত হচ্ছে সুশাসন থেকে।স্থানীয় সকল সমস্যা একমাত্র সংবাদপত্রই প্রকাশ করতে পারে। সংবাদপত্রকে মনে করা হয় জনগণের সদাজাগ্রত লোকসভা বলে। গণতান্ত্রিক দেশে জনগণের সুশাসন প্রাপ্তির অধিকার যেমন রয়েছে তেমনি সংবাদপত্র এ বিশাল জনবসতির সাথে মহামিলন ঘটিয়ে দিতে পারে। স্থানীয় সংবাদপত্র পারে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা রাখতে। সরেজমিন পরিদর্শন, সংশি¬ষ্টদের সাথে আলাপে জানা যায়, স্থানীয় সংবাদপত্রও এ দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হচ্ছে। এ ব্যর্থতার কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে: স্থানীয় পত্রিকার ডিক্লারেশনে সমস্যা, আর্থিক দৈন্যতা, বিজ্ঞাপন প্রাপ্তিতে সমস্যা, প্রশাসনের অসহযোগিতা, দক্ষ সংবাদকর্মীর অভাব, ব¯দনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশে বাধা, রাজনৈতিক ও প্রভাবশালীদের চাপ, ব্যবসায়িক দৃষ্টিকোণ থেকে পত্রিকা প্রকাশ করা ইত্যাদি। সরকার ও সচেতন মহল স্থানীয় সংবাদপত্র প্রকাশে যথাযথ সহযোগিতার হাত বাড়ালেই সুশাসন প্রতিষ্ঠায় স্থানীয় সংবাদপত্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে বলে সকল মহলের ধারণা।
নোয়াখালীর সংবাদপত্র: নোয়াখালী জেলার সংবাদপত্রের ইতিহাসে দেখা যায়, স্থানীয় সংবাদপত্র জনগণের শাসন প্রতিষ্ঠায় কত বড় ভূমিকা রাখতে পারে। ১৮৭৪ সালে বৃটিশ শাসিত ভারতবর্ষে থাকা অবস্থায় নোয়াখালী অঞ্চলের লোকজন ‘ঢাকা প্রকাশ’ নামে একটি সংবাদপত্র প্রকাশের উদ্যোগ নিলেও আর্থিক সহযোগিতা না পাবার কারণে সংবাদপত্রটি শেষ নাগাদ প্রকাশ করা সম্ভব হয়নি। নোয়াখালী থেকে প্রথম প্রকাশিত পত্রিকার নাম সাপ্তাহিক ‘পূর্ব বঙ্গবানী’। ১৮৮৮ সালে পত্রিকাটি বন্ধ হয়ে যায় প্রকাশের মাত্র চার বছরের মাথায়।স্বাধীনতাপূর্ব বৃটিশ আমলে,পাকিস্তান শাসনামলে এ জেলায় প্রচুর সংবাদপত্র প্রকাশিত হয়েছে। সেগুলোর প্রায় সবগুলোই বিলুপ্ত হয়ে গেছে। স্বাধীনতার ৩০ বছরের মধ্যেও নোয়াখালীতে প্রচুর সংবাদপত্র প্রকাশিত হয়েছে। কিšদ তার অনেকগুলোই বন্ধ হয়ে গেছে। বৃহত্তর নোয়াখালী জেলার সংবাদপত্র প্রকাশনার ধারাক্রমটিকে মোট চার পর্বে ভাগ করা যায়। প্রথমতঃ বৃটিশ শাসনকাল- সংবাদপত্র বিকাশের সূচনাপর্ব। দ্বিতীয়তঃ পাকিস্তান শাসনামল পর্ব। তৃতীয়তঃ স্বাধীনতা যুদ্ধের পরবর্তীকাল। চতুর্থতঃ নতুন জেলাভিত্তিক প্রশাসনিক বিন্যাস পরবর্তী।
ডিক্লারেশন: নজরানা যেন ফাইলের জীবনিশক্তি: জাতীয় পত্রিকাসমূহে স্থানীয় সংবাদ কম আসে বলে স্থানীয় জনসাধারণের দুঃখ দুর্দশা, শোষণ-বঞ্চনার চিত্র তুলে ধরার জন্যে স্থানীয় পত্রিকার আত্মপ্রকাশ। কিšদ স্থানীয় পত্রিকার ডিক্লারেশন পেতে অনেক খড়কাঠ পোহাতে হয়। এর জন্যে প্রথমে জেলা প্রশাসক বরাবরে দরখাস্ত করে ডিএফপি থেকে পত্রিকার নামে ছাড়পত্র আনতে হয়। এরপর ডিএসবি, এসপিসহ প্রশাসনের বিভিন্ন টেবিল ঘুরে পত্রিকার ডিক্লারেশন ফাইল আলোর মুখ দেখে। কিšদ টেবিলে টেবিলে ফাইল চালনা করতেই সমস্যা হয় সবেচেয়ে বেশি। পত্রিকা ডিক্লারেশনের জন্যে বিভিন্ন পর্যায়ে ঘুষ প্রদান করতে হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সাথে এ ব্যাপারে যোগাযোগ হলে তারা এ অভিযোগ অস্বীকার করেন।
পত্রিকা প্রকাশনায় ইচ্ছে আছে, অর্থ নেই:ম্যাসলাইন মিডিয়া সেন্টারের একদল কর্মীবাহিনী নোয়াখালীর বিভিন্ন সংবাদপত্র কার্যালয় পরিদর্শন করেন। পরিদর্শক দল পত্রিকার সম্পাদক, মালিক এবং বন্ধ হয়ে যাওয়া পত্রিকার সম্পাদকের সাথে কথা বলেন। এ পরিদর্শনকালে যে তথ্যটি বেরিয়ে আসে তাহল, সকল পত্রিকার সম্পাদকদেরই পত্রিকা প্রকাশের ইচ্ছে আছে কিšদ তারা আর্থিক দৈন্যতার কারণে পত্রিকা প্রকাশ করতে পারছেনা। সরকারি বেসরকারি বিজ্ঞাপন না পাওয়ার কারণে অনেক পত্রিকাই বন্ধ হয়ে গেছে। যে কয়েকটি পত্রিকা এখনো টিকে আছে সেগুলোর অধিকাংশই সম্পাদকদের নিজ পকেটের টাকায় ছাপা হয় বলে জানান নোয়াখালী কন্ঠের সম্পাদক। অর্থনৈতিক সমস্যার কারণে পত্রিকা কর্তৃপক্ষ সংবাদকর্মীদের কোন সম্মানী দিতে পারে না ফলে সংবাদকর্মীরা এ পেশা ছেড়ে দিয়ে বিকল্প পেশায় চলে যায়। অবশ্য যথাযথ সম্মানীছাড়া যে কেন কাজকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করাও ঠিক নয়। তাই জীবনের তাগিদে তারা অন্য পেশায় যুক্ত হয়। এতে করে স্থানীয় সংবাদগুলো প্রশিক্ষিত সংবাদকর্মী পায় না। পত্রিকা প্রকাশের জন্যে অর্থনৈতিক যোগান অবশ্যই দরকার সেজন্যে ডিএফপি কেন্দ্রীয়ভাবে বিজ্ঞাপন বন্টন বন্ধ করে স্থানীয়ভাবে বিজ্ঞাপন দেওয়া উচিত।
মালিক যিনি সম্পাদক-সংবাদকর্মীও তিনি: স্থানীয় পত্রিকাকে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সচল রাখার জন্যে যে পরিমাণ দক্ষ লোকবল প্রয়োজন সেটি একেবারে নেই বললেই চলে। নোয়াখালী থেকে প্রকাশিত অধিকাংশ পত্রিকার সাথে যুক্ত রয়েছে কিছু তরুন। যারা সাংবাদিকতার দায়িত্ব ও লেখালেখির দক্ষতা সম্পর্কে তেমন কোনো অভিজ্ঞতাই রাখেন না। কোনরূপ প্রশিক্ষণ ছাড়া একসময় এ রকম লিখতেন মোঃ হারুনুর রশিদ বলেন, সমাজের নানা ধরণের মানুষের সাথে বাস করতে গিয়ে যে ঘটনাটি আমার কাছে অ-স্বাভাবিক মনে হতো সাধারণতঃ সেই ঘটনা দিয়ে রিপোর্ট তৈরি করতাম। তাছাড়া সংবাদ লেখার আলাদা কাঠামো আছে, লেখার কৌশল আছে এ ধরণের কোন ধারণাও রাখতাম না। সাংবাদিকতার মাধ্যমে যে একটি মহৎ কাজ সম্পন্ন হয় সে কথা আজকে অনেকেই বিশ্বাসই করে না। প্রত্যেকে এ সকল কাজকে বাণিজ্যিক দৃষ্টিতে দেখে। চৌমূহনী থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক পূর্বশিখার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম হারুন বলেন, কিছু আগ্রহী তরুন খুব আগ্রহ নিয়ে মাঝে মধ্যে লেখালেখি শুরু করলেও শেষ পর্যন্ত আমরা আর্থিক দৈন্যতার কারণে তাদেরকে যথাযথ সম্মানী দিতে পারিনা বলে পরবর্তীতে তারা অন্য যে কোন পেশায় চলে যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সাপ্তাহিকের সম্পাদক বলেন, স্থানীয় পত্রিকাগুলো সাধারণত দু’একজনের তত্ত্বাবধানে প্রকাশিত হয়। পত্রিকায় নামকা ওয়াস্তে দু’একজনের নাম ব্যবহারই হয় মাত্র। কার্যত একজন ছাড়া বাকী কেহ প্রকাশনায় যুক্তও থাকেনা। এতে সম্পাদক যিনি সংবাদকর্মীই তিনি। আবার সংবাদকর্মী যিনি মালিকও তিনি।
স্থানীয় সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন, অযথা খরচ: পত্রিকা প্রকাশের জন্যে প্রয়োজন আর্থিক সঙ্গতি। আর এ আর্থিক স্বচ্ছলতার একটি উপায় সরকারি ও বেসরকারি বিজ্ঞাপন। কিšদ স্থানীয় পত্রিকার জন্যে প্রচলিত বিজ্ঞাপন নীতি রয়েছে তা খুবই বৈষম্যমূলক। বেসরকারি বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রেও রয়েছে সমস্যা। স্থানীয় পর্যায়ে পর্যাপ্ত পরিমাণ শিল্প কারখানা না থাকার কারণে বেসরকারি অবস্থান থেকেও তেমন কোন বিজ্ঞাপন পাওয়া যায় না। এ প্রসঙ্গে নোয়াখালী কন্ঠ সম্পাদক আফতাব উদ্দিন বাচ্চু বলেন, বেসরকারিভাবে যাদের দুএকটি কল কারখানা আছে তারা মনে করে স্থানীয় পত্রিকার পাঠক কম। কম মানুষই স্থানীয় সংবাদপত্র পড়ে। তাই স্থানীয় সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিলে তাদের প্রচার-প্রসার কম হবে ভেবে তারা জাতীয় দৈনিক পত্রিকাগুলোতে বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকে। স্থানীয় পত্রিকায় বিজ্ঞাপন প্রদানকে তারা অযথা খরচ বলে মনে করেন। সাপ্তাহিক ফয়সালা পত্রিকার সম্পাদক আবু জাফর বলেন, ‘সরকারি পর্যায় থেকে স্থানীয় পত্রিকাগুলো যে ছিঁটেফোটা বিজ্ঞাপন পায় তাতে তেমন একটা সাশ্রয় হয় না।’ সরকারি দুএকটি বিজ্ঞাপন পাওয়া গেলেও বিজ্ঞাপনের বিল প্রদানের ক্ষেত্রে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয় পত্রিকাগুলো বাঁচিয়ে রাখতে হলে স্থানীয় বিজ্ঞাপনগুলো স্থানীয় পত্রিকায় দেওয়া উচিত। স্থানীয় পত্রিকার সাথে যেহেতু আম জনতার জীবন জীবিকার যোগসূত্র থাকে তাই রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠানটির সাথে জনতার মিলন অটুট রাখার জন্যে স্থানীয় সংবাদপত্রও অত্যাবশ্যক।অমুক ভাইয়ের সংবাদ ছাপা যাবেনা: সাংবাদিকরা অনেক সময় মানবাধিকার লঙ্ঘন ও প্রশাসনিক দুর্নীতি সংক্রান্ত বিভিন্ন সংবাদ ছাপার ফলে স্থানীয় প্রভাবশালী মহল প্রশাসন কর্তৃক হুমকির সম্মুখীন হতে হয়। বৃহত্তর নোয়াখালী অঞ্চলে এমন অনেক ঘটনা আছে বলে বিভিন্ন মহলের সাথে আলাপকালে জানা যায়।ক্ষমতার অপব্যবহার করে দুর্নীতির কথা পত্রিকায় প্রকাশ করায় স্থানীয় সাংবাদিকরা নোয়াখালী কোম্পানীগঞ্জ থানার বসুরহাট পৌরসভার চেয়ারম্যান আঃ কাদের মীর্জার রোষানলে পড়তে হয়। তিনি জনসম্মুখে সাংবাদিকদের গালিগালাজ করেন। এমনকি তার দুর্নীতির বিষয়ে লেখার ফলে অনেক সাংবাদিককে এলাকা ছেড়ে ফেরারী জীবন যাপন করতে হয়। এছাড়াও ফেনীতে সত্য ও ব¯দনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ করার অপরাধে সাংবাদিকদের বিভিন্ন রাজনৈতিক ও প্রভাবশালী গোষ্ঠীর হাতে নিপীড়ন ও নির্যাতনের শিকার হতে হয়। এমনকি এ সকল গোষ্ঠীর চাপে কয়েকটি স্থানীয় পত্রিকার প্রকাশনা বন্ধ করে দিতে হয়। একই ঘটনা ঘটে লক্ষ্মীপুরে। সেখানে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান বিভিন্ন দুর্নীতি, অন্যায়, নির্যাতন, খুন ইত্যাদির কথা স্থানীয় সাংবাদিকরা পত্রিকায় তুলে ধরলে তিনি তৎকালীন একজন মন্ত্রীর সামনে জনসম্মুখে সাংবাদিকদের হাত-পা কেটে ফেলার হুমকি দেন। এ প্রসঙ্গে আলাপকালে স্থানীয় একটি পত্রিকার সম্পাদক আফতাব উদ্দিন বাচ্চু বলেন, স্থানীয় পত্রিকার কোন সংবাদ ছাপাতে হলে স্থানীয় গড ফাদারদের অনুমতি নিতে হয়। কোন সংবাদটি ছাপানো যাবে কোনটি যাবে না তা স্থানীয় টাউটরা সম্পাদকদের পরামর্শ দেন। স্থানীয় প্রভাবশালী রাজনৈতিক গোষ্ঠীর এ সকল কথা উপেক্ষা করার কারণে একটি রাজনৈতিক দলের সন্ত্রাসীরা তার পত্রিকা অফিসে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করে। হুমকি, ভীতি, রাজনৈতিক চাপ ইত্যাদি কারণে জাতীয় ও স্থানীয় পত্র পত্রিকায় গ্রামের খবর প্রবাহের হারও খুবই নগন্য।
প্রশাসন ভাবে সাংবাদিক নয় যেন গোয়েন্দা: সাংবাদিকরা স্থানীয় প্রশাসনের যথাযথ সহযোগিতা পায় না। প্রশাসনের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের ডাকার নিয়ম থাকলেও তাদের তেমন একটা ডাকা হয় না। আবার অনেক সময় প্রশাসন কেবল ক্ষমতাসীন দলের সমর্থনকারী সাংবাদিকদের ডাকে। এছাড়াও সাংবাদিকরা প্রশাসনের কাছ থেকে কোনরূপ তথ্য চাইলেও তারা দিতে চায়না। সাংবাদিকদের কোন প্রকার তথ্য প্রদান করা হলে তাদের বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম ফাঁস হয়ে যাবে এ ধারণা থেকে তারা কোন তথ্য দেয় না। এছাড়াও প্রশাসনের বিভিন্ন অনিয়মের কথা সংবাদপত্রে প্রকাশ করার অভিযোগে অনেক সাংবাদিককে অতীতে মামলা ও গ্রেফতার বরণ করতে হয়েছে। প্রশাসনে যে কোন তথ্যের জন্যে গেলে তাদের সোজা কথা উপরস্থ অনুমতি ছাড়া দেওয়া যাবে না। এ প্রসঙ্গে সমাজকর্মী মামুনুর রশিদ বলেন, সাংবাদিকরা প্রশাসন ও জনগণের মাঝে মাধ্যম হিসেবে কাজ করতে পারে এবং প্রশাসনের তাই মনে রাখা উচিত। কিšদ তারা সাংবাদিকদের সাংবাদিক মনে না করে গোয়েন্দা মনে করে। এতে করে জনজীবনে সুশাসন প্রতিষ্ঠা অনেকাংশে ব্যাহত হয়।
সাংবাদিকের প্রশিক্ষণ যেন মালিকের অপচয়: সারাদেশে সাংবাদিকের সংখ্যার তুলনায় দক্ষ সাংবাদিকের পরিমাণ অত্যন্ত কম। স্থানীয় পর্যায়ের সাংবাদিকরা দক্ষতা উন্নয়নের জন্যে তেমন কোন প্রশিক্ষণের সুযোগ পায় না। আর এই অদক্ষতা জন্যেই স্থানীয় সাংবাদিকরা সংবাদমূল্য নির্ধারণে অনেকাংশে ব্যর্থ হন। ফলে সংবাদ হওয়ার মত সংবাদও যথাযথভাবে উপস্থাপন হয় না। দৈনিক মাতৃভূমি নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি মিরন মহিউদ্দিন জানান, তৃণমূল পর্যায়ে প্রাত্যহিক জীবনে গণতন্ত্র, মানবাধিকার, উন্নয়ন বিষয়ক হাজারো ঘটনা ঘটছে। আবার অনেক সুপ্ত ঘটনাই আছে যেগুলোর সাথে বিশাল জনগোষ্ঠীর স্বার্থ সংশি¬ষ্ট। কিšদ প্রশিক্ষিণের অভাবে বর্তমানে অনেক সংবাদকর্মীই সে সকল ঘটনাকে এড়িয়ে চটক সংবাদের দিকে ধাবিত হচ্ছে।সুশাসন প্রতিষ্ঠায় স্থানীয় সাংবাদিকতার রয়েছে বিশাল ভূমিকা। এমন ঘটনাই আছে যেগুলো সংবাদপত্রে প্রকাশের পর জনগণ তার প্রতিকার পেয়েছে। এ প্রসঙ্গে প্রশিক্ষিত একজন সংবাদকর্মী বলেন, নোয়াখালীর স্থানীয় সংবাদপত্র লোক সংবাদ কোম্পানীগঞ্জে চর দখলকারীরা ৯টি বাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে, রায়পুরে মাছ ঘাট, বয়ারচরের উপর অনুসন্ধানী প্রতিবেদকমূলক সংবাদ প্রকাশের পর সংশি¬ষ্ট সাধারণ মহল এ বিষয়ে প্রতিকার পেয়েছে। যথাযথ কর্তৃপক্ষও তাদের প্রতি দৃষ্টি দিয়েছে। তাই সুশাসন প্রতিষ্ঠায় স্থানীয় সংবাদের রয়েছে শক্তিশালী অবদান। কিšদ অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণের অভাবে স্থানীয় সংবাদ পত্র-পত্রিকায় কর্মরত সংবাদকর্মীদের মধ্যে জনগণ, সংবাদপত্র ও প্রশাসনের সাথে সম্পর্কের প্রকৃতি যেমন হওয়া উচিত সে সম্পর্কিত ধারণার অভাব রয়েছে। সেই সাথে সমাজের সার্বিক পরিস্থিতি বিষয়ে জ্ঞান ও পেশাগত দক্ষতার অভাবে সংবাদপত্রগুলো স্থানীয় জনতার দুঃখ দুর্দশা ও চাওয়া পাওয়ার মুখপাত্র হয়ে উঠছে না। জনগণও সে কারণে স্থানীয় সংবাদপত্রের মুখাপেক্ষী হয়ে উঠছে না।স্থানীয় কিছু উৎসাহী যুবক সাংবাদিক পরিচয়ে আনন্দবোধ করে বলে তারা স্থানীয় পত্রিকাদির সাথে জড়িত থাকে। কিšদ তাদের কোন প্রশিক্ষণ নেই। ফলে সংবাদপত্রে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ উঠে আসে না। যদি সংবাদকর্মীদের প্রশিক্ষণ থাকতো এ সমস্যা হতো না। এ সমস্যা সমাধানের জন্যে পিআইবিসহ দু’একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা মাঝে মধ্যে স্থানীয় সংবাদকর্মীদের জন্যে প্রশিক্ষণের আয়োজন করলেও তা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। এ ধরণের প্রশিক্ষণের জন্যে যে পরিমাণ অর্থ দরকার তা স্থানীয় অনেক পত্রিকারই নেই। আবার কোন কোন প্রতিষ্ঠান পত্রিকার অর্থ যোগান দেবার সুযোগ থাকলেও স্থানীয় সংবাদকর্মীদের দক্ষতা উন্নয়নের প্রশ্নে তারা অনীহা দেখায়। এ প্রসঙ্গে নোয়াখালীতে কর্মরত একটি জাতীয় পত্রিকার প্রতিবেদক বলেন, সংবাদকর্মীদের দক্ষতা উন্নয়নে অর্থ খরচ করাকে মালিকপক্ষ অহেতুক অপচয় বলে মনে করে।
পত্রিকা নয় যেন তোষামোদনামা: সংবাদপত্রকে জনমানুষের মহামিলন কেন্দ্র বলা হলেও কিছু কিছু স্থানীয় সংবাদপত্র মাঝে মাঝে শিল্পপতির বায়না বা তোষামোদ করে প্রকাশিত হয়। এ প্রসঙ্গে সাংবাদিক মিরণ মহিউদ্দিন বলেন, আসলে এজন্যে আর্থিক দৈন্যতাই দায়ী। অর্থাভাবে সম্পাদক পত্রিকা প্রকাশ করতে অপারগ হলে কোন বিশেষ ব্যক্তির দ্বারস্থ হন। আর সে ব্যক্তির নিকট থেকে কোন প্রকার সাহায্য পেল তার পক্ষে হয়ত দু’এক কলম লিখে। যদিও তা মোটেই ঠিক নয়। মাঝে মাঝে দেখা স্থানীয় পত্রিকাগুলোর কোন কোনটি সংবাদপত্রের আদ্যোপ্রান্তে একজন ব্যক্তির সাক্ষাৎকার, জীবন বৃত্তান্তসহ কেবল একজন মানুষকে নিয়ে লিখে থাকে। এ ক্ষেত্রে পত্রিকাটি কিšদ উক্ত ব্যক্তির বিজ্ঞাপনপত্রে পরিণত হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি জাতীয় পত্রিকার সম্পাদক বলেন, আসলে কিছু কিছু সম্পাদক আছেন তারা পত্রিকার নাম ভাঙিয়ে শিল্পপতিদের কাছ থেকে কিছু টাকা পয়সা নিয়ে একটি সংখ্যা বের করে উক্ত ব্যক্তির খানিকটা তোষামোদ করে। আর বাকী টাকা দিয়ে নিজের উদর পূজা করে। এতে করে সাধারণ মানুষ বিভ্রান্তির শিকার হন। এ সকল কাজগুলো যে কোন গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনের বা সময়ের আগে ঘটে থাকে বলে সাধারণ মানুষ সে ব্যক্তির ইতিবাচক নেতিবাচক কোন খবরাদি না জেনে উক্ত ব্যক্তির প্রতি ঝুঁকে পড়ে। ফলে জনসাধারণ নেতা নির্বাচনের সময়ও শঠতার শিকার হন। নগর বার্তা বনাম পল¬ী বার্তা>বিপাকে পাঠক: রাজধানী থেকে প্রকাশিত পত্রিকাগুলো নানা রঙে প্রকাশিত হয় বলে পত্রিকাগুলোর প্রতি পাঠকের আগ্রহ থাকে খুব বেশি। স্থানীয় পত্রিকাগুলো লেটার প্রেসে হালকা ও ঝাপসা অক্ষরে ছাপা হয় বলে পাঠক পত্রিকার প্রতি তেমন আগ্রহী হয়ে উঠে না। গ্রামের একজন সাধারণ পত্রিকা পাঠক কামাল উদ্দিন বলেন, স্থানীয় পত্রিকাগুলোতে সাধারণত কিছু হার্ড নিউজ থাকে। এছাড়া পাঠকের জন্যে আলাদা কোন বিভাগ থাকে না। কিšদ ঢাকা থেকে প্রকাশিত পত্রিকাগুলোতে বিভিন্ন বিভাগ থাকে বলে তারা বিভিন্ন বিষয়ে জানতে পারে। তাছাড়া স্থানীয় পত্রিকাগুলো মাঝে মাঝে জাতীয় পত্রিকাগুলোর নিউজ, প্রবন্ধ, কলাম পুনরায় ছাপিয়ে দেয় বলে অভিযোগ করেন। স্থানীয় পত্রিকাগুলোর অন্যতম একটি পাঠক স্বল্পতা। স্থানীয় পত্রিকা বৈশিষ্ট্য ও গুণ ঠিকমত থাকে না বলে এ সমস্যা। পত্রিকা পাঠক কামাল উদ্দিন আরো বলেন, অনেকে শহরের চটক খবর পাঠে বেশি আগ্রহী। তারা সাধারণত খুটিয়ে খুটিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে পড়ে। স্থানীয় সংবাদ সম্পর্কে তারা জানতে চাইলে জানতে পারে কম। কেননা জাতীয় পত্রিকাগুলোতে মফস্বলের জন্যে মাত্র ২/১টি পাতা বরাদ্দ থাকে। তাতে ৬৮ হাজার গ্রামের ছবি ভেসে উঠে না। বাংলাদেশ প্রেস ইনিষ্টিটিউটের সাময়িকী নিরীক্ষা’য় (৫৮তম সংখ্যা ১৯৯২) প্রকাশিত রচনায় গবেষক সীমা মোসলেমের তথ্য মোতাবেক ঢাকা থেকে প্রকাশিত পাঁচটি জাতীয় দৈনিকে আট দিনের সংবাদ অংশের মধ্যে মফস্বল সংবাদে অংশ দৈনিক সংবাদ ৩৮.৯৮%. দৈনিক ইত্তেফাক ২০.৮৮%, দৈনিক ইনকিলাব ১৯.১৯%, দৈনিক বাংলা ১৭.৮৭%, বাংলাদেশ অবজারভাব ১২.৬১%। অথচ গ্রাম নিয়ে বাংলাদেশ। কিšদ জাতীয় পত্রিকায় গ্রামের জন্যে বা স্থানীয় খবরের জন্যে জায়গা খুব কম। গ্রামের পাঠক যেমন শহরের সংবাদের অন্বেষণ করে তেমনি শহরের পাঠক ও গ্রামের সংবাদের খোঁজে থাকে। কিšদ সংবাদ প্রকাশের যথাযথ উপায় না থাকায় দু শ্রেণীর পাঠকই হতাশ হন। স্থানীয় সংবাদপত্রের এ শূন্যতা সম্পর্কে সাপ্তাহিক ফয়সালার সম্পাদক বলেন, মফস্বলে রয়েছে প্রযুক্তিগত সমস্যা। স্থানীয় সংবাদপত্রগুলো ছাপা হয় লেটার প্রেসে। এখানে আধুনিক অফসেট প্রেসও প্রযুক্তির রয়েছে অভাব। হাতিয়ায় নেই কোন প্রেস। ফলে সেখানকারপত্রিকাগুলো জেলা শহর থেকে সম্পাদকগণছাপিয়ে নিয়ে যান। পত্রিকা গুণগত মান ও বৈশিষ্ট্য ঠিক করা সম্ভব হলে স্বল্প পাঠক সমস্যা যেমন দূর হবে তেমনি পাঠককেও গ্রামের খবর শহরের খবর খুঁজতে হবে না। মান সম্মত পত্রিকা প্রকাশ হলেই মানুষের কেন্দ্রানুগ মানসিকতা লোপ পাবে। সম্পাদক ও সংবাদকর্মীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা । পত্রিকার উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য স্থির করে স্থানীয় সমস্যা ও সমাধানের প্রতিবেদন উপস্থাপন সহ প্রশাসনিক যাবতীয় সহযোগিতা প্রদান করা দরকার। এছাড়া ডিএফপি বৈষম্যমূলক বিজ্ঞাপননীতি বদল করা যেতে পারে। স্থানীয় পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেয়ার জন্যে বিজ্ঞাপন দাতাদের উৎসাহীত করার দরকার। ১০ বছর পূর্বে প্রকাশিত পত্রিকা ডিএফপি অডিট গ্র“ফের আওতা থেকে মুক্ত করা যেতে পারে।