Thursday, August 16, 2007

প্রাথমিক স্তরে পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন : সংস্কারের নামে শিশুদের মগজ ধোলাই


সার্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রমের সফল বাস্তবায়ন ও এর গুণগত মানোন্নয়নের লক্ষ্যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার যে দীর্ঘ মেয়াদী কর্মসূচি গ্রহণ করেছে তার মধ্যে প্রাথমিক স্তরের শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যসূচি সংস্কার ও নবায়ন অন্যতম। কথাগুলো প্রথম শ্রেণীর বাংলা বইয়ের ভূমিকায় লেখা রয়েছে। এছাড়াও প্রাথমিক স্তরের প্রতিটি শ্রেণীর পাঠ্য বইয়ের মুখবন্ধে লেখা রয়েছে। শিক্ষার্থীদের বয়স, মেধা ও গ্রহণযোগ্যতা বিবেচনা করে প্রতিটি বইয়ের বিষয়ব¯দ যেন আকর্ষণীয়, জীবন ভিত্তিক ও সমকালীন চাহিদা উপযোগী হয় সেদিকেও লক্ষ্য রাখা হয়েছে। কিšদ বিভিন্ন শ্রেণীর পাঠ্যপুস্তক পাঠ করে এবং ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক অভিভাবক ও পেশাজীবীদের সাথে আলাপে দেখা যায় পাঠ্যপুস্তকের প্রারম্ভে ভূমিকা অংশের বক্তব্যের সাথে পাঠ্যসূচির অনেক অমিল রয়েছে। তাছাড়া নতুনভাবে প্রণীত পাঠ্যক্রম ছাত্রছাত্রীদের বয়স, মেধা, যোগ্যতা, আর্থ সামাজিক অবস্থার সাথে অনেক অবাস্তবতার চিত্র ফুটে উঠে বলেও অনেকে অভিযোগ করেন।শিক্ষার বিষয়ব¯দকে শিক্ষার্থীর বয়স মনস্তাত্বিক বিচার, ছাত্র-শিক্ষকের সম্পর্কের ধরণ ও অবস্থা বিবেচনা করে বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল-কলেজ, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষাবিদ, ছাত্রছাত্রী প্রতিনিধি সমন্বয়ে আলোচনা সাপেক্ষে পাঠ্যক্রম ও পাঠ্যসূচি প্রণয়ন করলে এ সকল সমস্যার সমাধান করা অনেকাংশে সম্ভব।
পাঠ্যক্রম কী: বানদত্ত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাবু ননী গোপাল মজুমদার বলেন, পাঠ্যক্রম একটি পদ্ধতি জাতি গঠনের জন্যে একজন নাগরিককে কোন পর্যায়ে কতখানি জ্ঞান বা ধারণা প্রদান করবে তার যে পদ্ধতি তাই মোটা দাগে পাঠ্যক্রম নামে অভিহিত। ফলাহারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র নুসরাত জাহান রক্সী পাঠ্যক্রম বলতে বুঝে প্রত্যেক বইয়ের সূচিকে। গঙ্গাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য মাঈন উদ্দিন বলেন, দক্ষ ও মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন একটি জাতি গড়ে তোলাই শিক্ষার লক্ষ্য। আর সে লক্ষ্যে পৌছানোর মূল সিঁড়ির নামই পাঠ্যক্রম বা পাঠ্যসূচি।
যে কারণে পাঠ্যক্রম: একটি দেশের একটি জাতির অতীত, বর্তমান, ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি সম্পর্কে অবগত করেই একটি জনগোষ্ঠী গড়ে তুলতে হয়। আর এ উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের প্রধান যোগানদাতা শিক্ষা। তাই শিক্ষা ব্যবস্থার প্রাণকেন্দ্র হচ্ছে পাঠ্যক্রম। একটি জাতি সম্পর্কে, বিষয় সম্পর্কে একজন ছাত্র কোন শ্রেণীতে কতখানি জানবে শিক্ষার্থীর বয়স, মনস্তাত্বিক বিচার, বিশ্লেষণ, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর অবস্থান ইত্যাদি মাথায় রেখে একটি সফল পাঠ্যক্রম। তাই শিক্ষার মূল লক্ষ্যে পৌছতে পাঠ্যক্রম বাঞ্চনীয়। আর একটি সফল পাঠ্যক্রমের উপরই শিক্ষার সফলতা ব্যর্থতা নির্ভর করে বলে মন্তব্য করেন গঙ্গাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য মাঈন উদ্দিন।
পাঠ্যক্রমের বর্তমান হালচাল: বানদত্ত উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের সাবেক সভাপতি এটিএম সামছুল হক বলেন, আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় একটা অরাজকতা বিরাজমান। প্রাথমিক স্তরের পাঠ্যক্রম, পাঠ্যসূচি ও পাঠ্যপুস্তকের ক্ষেত্রে চলছে বহুমাত্রিক ধারা। সরকার চালিত বিদ্যালয় সমূহের পাঠ্যক্রম নির্ধারণ করে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যক্রম বোর্ড (এনসিটিবি), মাদ্রাসাসমূহের পাঠ্যক্রম নির্ধারণ করে মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড, আবার এনজিও এবং কিন্ডার গার্টেন বিদ্যালয় সমূহের পাঠ্যক্রম প্রণীত হয় তাদের নিজস্ব ধ্যান ধারণার উপর।
প্রথম পাঠ্যক্রমের ইতিকথা: পাঠ্যক্রম প্রণয়ন একটি দীর্ঘ পরিকল্পনা। প্রাথমিক স্তর থেকে বেরিয়ে একটি ছাত্রছাত্রী যত শিক্ষিতই হোক না কেন তাদের যে চেতনা, তাদের যে মূল্যবোধ তা মূলতঃ প্রাথমিক স্তর থেকে ভিত লাভ করে। আমাদের দেশে প্রথম পাঠ্যক্রম প্রণয়ন করে ব্রিটিশরা। বেশ কয়েকবার পাঠ্যক্রম বদল হলেও বর্তমানে আমাদের পাঠ্যক্রমের আদল কিছুটা ব্রিটিশ প্রণীত পাঠ্যক্রমের মধ্যেই রয়ে গেছে। ব্রিটিশ পাঠ্যক্রম প্রণয়নের সময় একটি বিশেষ পরিকল্পনা মাথায় রেখে পাঠ্যক্রম প্রণয়ন করে।মিঃ ম্যাকলে নামক এক বৃটিশ নাগরিক সর্বপ্রথম পাঠ্যক্রম প্রণয়ন করে। বৃটিশরা চেয়েছিল আমাদের দেশের ছেলেমেয়েরা লেখাপড়া শিখে অফিস আদালতের কেরানী হবে এবং সে পরিকল্পনা মাথায় রেখেই মিঃ ম্যাকলে পরিকল্পনা প্রণয়ন করেন। এ পাঠ্যক্রম প্রণয়নে তারা এমনভাবে খেয়াল রেখেছিল যাতে কেউ বড় কর্মকর্তা হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে না পারে এ পাঠ্যক্রম রপ্ত করে। এভাবে বৃটিশরা আমাদের দেশের নাগরিকদের শিক্ষিত করে তোলে। ঘটনার কালক্রমে বৃটিশরা আমাদের দেশ থেকে চলে যায়, তারপর পাকিস্তান শাসনামল, বর্তমানে আমরা একটি স্বাধীন দেশের মানুষ। অথচ আমাদের পাঠ্যক্রম এখনো বৃটিশ প্রণীত পাঠ্যক্রমের মাঝেই আটকে রয়েছে।
যেমন পরিবর্তিত পাঠ্যক্রম: ‘বিগত এক দশকে সার্বিক পাঠ্যক্রম বদল হয়েছে একবার’ এ কথা জানালেন ফলাহারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা লায়লা আঞ্জুমান আরা বেগম। তবে বানদত্ত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ননী গোপাল মজুমদার বলেন, প্রত্যেক বছরই একটা দুইটা করে অধ্যায় যোগ বিয়োগ হচ্ছে। এ বছর হয়ত কোন অধ্যায় সংযোজন হচ্ছে আবার দেখা গেছে অন্য বছর সে অধ্যায় বিয়োজিত হয়েছে। তবে বেশি ক্ষেত্রে সমাজ বইয়ের বিভিন্ন অধ্যায়ের রদ বদল করা হয় বলে তিনি উল্লেখ করেন।
যে কারণে পাঠ্যক্রমের বদল: ‘আগে প্রথম শ্রেণীতে পড়ানোর জন্যে পাঠ্যক্রম প্রণয়নে শব্দানুক্রমিকভাবে করা হতো। আর বর্তমানে তা করা হচ্ছে বাক্যানুক্রমিকভাবে।’ পাঠ্যক্রম পরিবর্তনের এটিও একটি কারণ বলে জানালেন বানদত্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তাছাড়া সরকারের দৃষ্টিভঙ্গিও বিশেষতঃ সমাজ বইয়ের দুএকটা অধ্যায় পরিবর্তনের কারণবলে তিনি জানান। তিনি আরো জানান, যে সরকার ক্ষমতায় তারা তাদের মত ইতিহাসের বিভিন্ন কথা যোগ করে। এর ফলে সে সরকার ক্ষমতায় না থাকলে অন্য সরকার তা আবার বদল করে। তবে মোদ্দাকথা হলো প্রাথমিক স্তর এখনো বৃটিশ প্রণীত পাঠ্যক্রমের ছকেই রয়ে গেছে। যা একটা যোগ বিয়োগ তা কেবল দেশের বিভিন্ন সরকারি দলের পূর্বসূরীর গুণগান বলে মন্তব্য করে কলেজ ছাত্র সোহেল।
পাঠ্যক্রম বদলের নীতিমালা: প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাবু ননী গোপাল জানান, পাঠ্যক্রম বদলের আলাদা কোন নীতিমালা নেই। এনটিসিবি’র পাঠ্যক্রম প্রণয়নে একটা কমিটি আছে, তারা বসেই রদবদল করে। এ কমিটিতে কারা থাকে জানতে চাইলে তিনি জানান, হয়ত বড় কোন আমলা বা কোন সচিব থাকে সে কমিটির প্রধান। তবে এ সকল লোকজনের অভিজ্ঞতা কিংবা যোগ্যতার চেয়ে সরকারের পছন্দসই লোককেই বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়। ফলে কমিটির কাজ হয় সরকারের জনগণের সাথে লেজুড়যুক্ত পাঠ্যক্রম প্রণয়ন করা। গঙ্গাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামরুন্নাহার বলেন, পাঠ্যক্রম প্রণয়নে ছাত্রছাত্রীদের চাহিদা নিরুপন করতে হয়। ছাত্রছাত্রী কি চায়, কি দরকার জানতে হবে। সেজন্যে পাঠ্যক্রম প্রণয়নে প্রান্তের ছাত্র শিক্ষক থেকে কেন্দ্রের অভিজ্ঞ লোকজনের অংশগ্রহণ দরকার। আমাদের এখানে তা করা হয়না। ফলে আমাদের পাঠ্যক্রম যুথসই হয়ে উঠেনা।
বই মিছা কতা লেহে: মিলন। হাই স্কুলে পড়ে। এখন সে কম বেশি রাজনীতি বুঝে। প্রাথমিক স্তরের বই নিয়ে মিলন বলে, ‘চুতর্থ শ্রেণীর বইতে লিখেছে শেখ মুজিবুর রহমান ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণা দিয়েছে। কিšদ আমি এখন আমার ভাইয়ের কাছে শুনেছি জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষক। এবং এটাই সত্যি। তাই তার ধারণা বইতে মিছা কথা লেহে।এ প্রসঙ্গে বানদত্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন, আসলে বিষয়টি ভাবনার। কারণ সরকার বই বদলের সময় তাদের মত কথাবার্তা লেখে । ছাত্রছাত্রী নিচের ক্লাশ থেকে ্সবে পড়ে গেলেও উপরের ক্লাশে গিয়ে তারা অনেক বিষয় রাজনৈতিক বক্তৃতার সাথে গুলিয়ে ফেলে।তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা করেছে কি করেনি, তা সত্য কি মিথ্যে তা আমার প্রশ্ন নয়। প্রশ্ন হলো বিষয়টি রাজনৈতিকভাবে বিতর্কিত। তাই বিতর্কিত কোন কিছু ছোট ছেলেমেয়েদের শেখালে যদি তা বড়ো হয়ে জানতে পারে তাহলে শিক্ষক ও শিক্ষার প্রতি শ্রদ্ধা নষ্ট হয়।
আগডুম বাগডুম:পৃথিবীর অন্যান্য দেশ তাদের শিক্ষার্থীদের আধুনিক শিক্ষিত করলেও আমাদের দেশের শিশুরা অর্থহীন ছড়া পড়েই চলেছে। কলেজ পড়–য়া সোহেল বলেন, প্রত্যেক কবিতা গল্পেই একটা অর্থ থাকে এবং সে অর্থ উপস্থাপন করাই কবিতা বা গল্পের উদ্দেশ্য। বর্তমানে অনেক কবিতা ছড়ারই কোন অর্থ নেই। এ প্রসঙ্গে শিক্ষক ননী গোপাল বলেন, এসব ছড়া দিয়ে শিশুদের বা বাচ্ছাদের মুখের জড়তা কাটে এবং সহজভাবে শিশুদের শেখানোর জন্যেই এসব ছড়া পড়ানো হয়। আগডুম বাগডুম, হাট টিমা টিম টিম কিংবা রং মেখে সং সেজেসহ বেশ কিছু ছড়া আছে প্রাথমিক স্তরের বিভিন্ন বইতে। সে সকল ছড়ার মধ্যে শেখার কিছুই নেই। কলেজ পড়–য়া সোহেল বলেন, আসলে স্কুলে ছেলেরা কিছু পড়তে হবে তাই এসব ছড়া। এ সকল পড়ায় কোন অর্থ থাক বা না থাক তাতে কি, পড়া হলেই তো হলো এ ধারণা নিয়ে বোধহয় পাঠ্যক্রম প্রণেতারা পাঠ্যক্রম প্রণয়ন করে।
এ বছরে ক্ষতি ৫০ কোটি টাকা: থানা শিক্ষা অফিসের একজন কর্মকর্তা বলেন, বর্তমান বছরে প্রাথমিক স্তরে প্রায় ৮টি বই পরিবর্তন হচ্ছে। এ বছর প্রায় নতুনভাবে ৮ কোটি বই ছাপানোর কাজ শুরু করেছে। এর মধ্যে পাঠ্যক্রম বদলের কারণে ২ থেকে আড়াই কোটি বই নতুনভাবে ছাপাতে হচ্ছে। এতে করে সরকার প্রতি বছর প্রচুর টাকা গচ্ছা দিতে হচ্ছে। নতুনভাবে ছাপানো পরিবর্তিত বইয়ের দাম হিসেব করলে প্রায় (যদি একটা বইয়ের দাম ১৫ টাকা করে ধরা হয়) ৫০ কোটি টাকার মত দাঁড়ায়। এতো গেল সরকারি গচ্ছার হিসেব, বেসরকারিভাবে যে সকল বিদ্যালয়, কেজি স্কুল, এনসিটিবি’র সাথে চুক্তি করে তারা ডিলারদের থেকে বই কিনে নিতে হয়।কান্দিরপাড় গ্রামের এনায়েত উল্যাহ বলেন, বেসরকারিভাবে যারা পড়াশুনা করছে বই বদলের ফলে তাদের সবেচেয় বেশি আর্থিক ক্ষতির মোকাবেলা করতে হয়। তিনি বলেন, এক সময় দেখা যেতো আমরা একসেট বই দিয়ে দুই/তিন বছর পর্যায়ক্রমে পড়তে পারতাম। কিšদ বর্তমানে প্রতিবছর বই বদলের ফলে নতুনভাবে প্রতিবছর বই কিনতে হয়। এতে করে অভিভাবকদের যেমন আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয় তেমনি শিক্ষকরাও সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।নরোত্তমপুর ইউনিয়নের মনির আহম্মদ বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বর্তমানে ইপিআই, শুমারীসহ নানা কাজে জড়িত থাকায় তারা প্রায়শই ঠিকমত কাজে মনোযোগ দিতে পারেনা। এতে করে অভিভাবকরা ছেলেদের জন্যে নোটবই কিনে দেয়। যদিও তা বেআইনী। কিšদ আমাদের সমস্যা হলো, ২/৩শ টাকা দিয়ে নোট বই কেনার পর দেখা যায়, ছেলেমেয়েদের ১ বছর পড়ার পর তা আর কেউ কিনে নেয় না বা পরবর্তীতে কেউ পড়ে না। কারণ সরকারি বই বদল হওয়ার পর তা আর নোট বইয়ের সাথে মিলেনা। এতে করে প্রতি বছর গ্রামের দরিদ্র কৃষকদের অনেক টাকা নষ্ট করতে হয়।
যা লেখে তাই পড়াই: বানদত্ত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা লুলু বিলকিছ বানু বলেন, বিগত ১০ বছরে অন্তত বই বদল হয়েছে তিনবার। তিনি বলেন,আগেরকার সময় দেখা যেতো যে শিক্ষক যে বিষয়ে পড়াতেন তিনি সে বিষয়ের বিভিন্ন অধ্যায়ের সাথে খুব পরিচিত হয়ে উঠতেন এবং ছাত্রছাত্রীদের পাঠদানে স্বকীয় একটা স্টাইল গড়ে তুলতেন। কিšদ বর্তমানে তা হয়ে উঠে না। তিনি আরো বলেন, আমরা সরকারি চাকুরী করি যা, লেখা তাই পড়াই কিšদ আমাদের তো দায়বদ্ধতা আছে। গত দশ বছরে বাংলা এবং সমাজ বইয়ের কয়েকটি অধ্যায় নানাভাবে পড়াতে হয়েছে। যা সত্যি দুঃখজনক।

No comments: