Tuesday, May 15, 2007
১০ কারণে ভিসতাকে না বলুন
অনেক আশার কথা শুনিয়ে ব্যাপক ঢাক-ডোল বাজিয়ে মাইক্রোসফট বাজারে এনেছিল উইন্ডোজ ভিসতা। লাখ লাখ ডলার খরচ করে করা মার্কেটিং নিশ্চয়ই আপনাকে মুগ্ধ করেছে। আপনিও সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন প্রয়োজনে পিসিকে আপগ্রেড করে হলেও ভিসতা ব্যবহার করবেন বা ইতোমধ্যেই তা করে ফেলেছেন। কিন্তু সত্যিই কি আপনার ভিসতা প্রয়োজন, আবার ভিসতা যা বলছে তাই কি ঠিকঠিক কাজ করছে? অনেক তো শুনেছেন কেন ভিসতা ব্যবহার করবেন। এবার শুনুন কেন ভিসতা ব্যবহার করবেন না।এক. আপনার ভিসতা কতোটা প্রয়োজন ঃ উইন্ডোজ এক্সপি পারে না এমন কিছুই ভিসতাও পারে না। নির্দিষ্ট করে বললে এতে নতুন শুধু ডিরেক্ট এক্স ১০ যুক্ত হয়েছে এবং আধুনিক গেমের জনক জন কারমেক বলেছেন এটা সাপোর্ট করে এমন কিছু এখনো তৈরি হয়নি। তাহলে কেন ভিসতা ব্যবহার করবেন।দুই. বেশি দাম ঃ এটা নিশ্চিতভাবেই বলা যায় অনেকেই আছেন যারা অন্ধের মতো ভিসতা ক্রয় করবেন। কিন্তু আপনার এখন এক্সপি আছে। ইন্টারনেটে লিনাক্স ফ্রি পাওয়া যায়। তাহলে শুধু শুধু দাম দিয়ে ভিসতা কেনাটা কতোটা যৌক্তিক। টাকা খরচ করার বেশি ইচ্ছা থাকলে কোন চ্যারেটিতে দান করুন।তিন. দামের তারতম্য ঃ বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় ভিসতার দামে তারতম্য আছে। অন্তত অস্ট্রেলিয়াতে তো অবশ্যই। ভিসতা অস্ট্রেলিয়া থেকে কিনতে একশ ডলারের বেশি খরচ করতে হয়। অথচ ইন্টারনেটের মাধ্যমে এটা কিনলে এই বেশি খরচটুকু করতে হবে না।চার. হার্ডওয়্যারকে আপগ্রেডের ঝক্কি ঃ আপনার যদি পুরনো মেশিন থাকে যাতে এক্সপি চালাতেই কষ্ট হয় সেখানে ভিসতা চালাতে গেলে আপনার পুরো পিসির হার্ডওয়্যারকে আপগ্রেড করতে হবে। এমনকি সাম্প্রতিক সময়ের পিসিতেও ভিসতা মসৃণভাবে চালাতেও হার্ডওয়্যার আপগ্রেড করতে হবে।পাঁচ. ড্রাইভার সাপোর্ট ঃ বর্তমানে ভিডিও এবং সাউন্ডের হার্ডওয়্যার সাপোর্ট বেশ করুন অবস্থায় রয়েছে। যেখানে ঘারফরধ তার ৮৮০০ এর জন্য একটি স্থায়ী ড্রাইভারের জন্য ব্যাপক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সেখানে এখনো ঘারফরধ-এর কোন কিছুর জন্য ঝখও-এর কোন সাপোর্ট এখনো ভিসতায় নেই। আর ক্রিয়েটিভের জনপ্রিয় ডিরেক্ট সাউন্ড বেইসড ঊঅঢ আর এখানে কাজ করবে না যা কিনা বর্তমান বাজারের সব গেমেই ব্যবহার করা হয়। ক্রিয়েটিভ বর্তমানে তাদের ঊঅঢ ড্রাইভারকে ঙঢ়বহঅখ অচও তে রূপান্তরিত করার কোডিং প্রক্রিয়ায় রয়েছে যা কিনা ভিসতা থেকে আলাদা। কিন্তু পূর্ব অভিজ্ঞতা বলে খুব দ্রুতই এই ড্রাইভারগুলো দেখতে পাবার আশা নেই।ছয়. যেসব অ্যাপ্লিকেশন কাজ করে না ঃ ভিসতাতে অনেক অ্যাপ্লিকেশনই কাজ করে না। এই তালিকায় রয়েছে এন্ট্রি ভাইরাস, ব্যাকআপ এবং সিকিউরিটি সফটওয়্যার। উদাহরণ স্বরূপ সিমানটেক বা সপহোস এবং ইল্কের সফটওয়্যার। সিডি এবং ডিভিডি এর বার্নিং টুল নিরো-এর নতুন ভার্সন ছাড়া তা ভিসতায় চলবে না। এমন কি বেসিক ডিস্ক ম্যানেজমেন্ট এবং পার্টিশনিং টুল এখনো ভিসতায় কাজ করার উপযোগ্য হয়ে ওঠেনি। আল্লাহই জানে ভিসতা যখন মেইন স্ট্রিমে আসবে তখন যে কতো অ্যাপ্লিকেশন চলবে না।সাত. বিশাল লক্ষ্যমাত্রা ঃ ভাইরাস এবং মেলওয়্যার এর কারিগররা এখন ব্যস্ত ভিসতার ফাঁক খুঁজে বের করতে। এবং ইতোমধ্যেই কিছু ফাঁক বের হয়েছে। আর এটা পূরণ করতে মাইক্রোসফটকে অনেক সময় ব্যয় করার প্রয়োজন রয়েছে যা এক বিশাল লক্ষ্যমাত্রা।আট. ইউএসি ঃ মাইক্রোসফটের ওএস সল্যুউশনে মাল্টিইউজার বিষয়টির উপর তেমন জোর দেয়া হয় না। আপনি নিশ্চিতভাবেই তা ডিসেবল করে দিতে পারেন। কিন্তু কোন ব্যবহারকারী যদি অনুমতি ছাড়া কোন ক্ষয়ে যাওয়া অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে তবে এক্সপি দ্রুতই তা জানান দেয় কিন্তু ভিসতায় এর ইউএসি স্ক্রিন আসতে অনেক সময় দেরী করে এবং যেতেও তার একই দশা।নয়. ডিআরএম ঃ টিপিএম তৈরি করা হয়েছিল আরআইএএ এবং এমপিএএ-এর জন্য এমনকি আরো কঠিন কপি প্রোটেকশান ম্যাকানিজমের জন্য। কিন্তু ভিসতায় এই দায়িত্ব আপনার ঘাড়েই পড়ে যদিও উইন্ডোজ রাইটস্ ম্যানেজমেন্ট রয়েছে।দশ. কঠিন শর্তাবলী সম্বলিত লাইসেন্স ঃ যেকোনো কারণেই হোক মাইক্রোসফট এটা ভুলে গেছে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল তাদের ভোক্তাদের উন্নয়নের অংশীদার হবার কারণে, তাদের ক্ষতি করে নয়। কিন্তু ভিসতার লাইসেন্সের শর্তাবলী এতোটাই কঠোর যে তা এর ব্যবহারকারীদের যেকোনো সময় অবাঞ্চিত পরিস্থিতিতে ফেলে দিতে পারে। যদিও বাংলাদেশের পাইরেটেড ভিস্তার জন্য এই আইনি বিষয় বলবৎ নয়!(কৃতজ্ঞতা : জুবায়ের আহমেদ ও দৈনিক ইত্তেফাক)
No comments:
Post a Comment